ব্রেকিং
রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল রিলায়েন্স

ভারত–যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনার মাঝেই বড় ঘোষণা দিল দেশটির শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড)ভুক্ত রপ্তানিমুখী শোধনাগারে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করেছে কোম্পানিটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রিলায়েন্স আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে—জামনগরের এসইজেড রিফাইনারিতে রাশিয়ান তেল ব্যবহারের প্রক্রিয়া ২০ নভেম্বর থেকেই পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। সেই নিষেধাজ্ঞা মেনেই আগেভাগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রিলায়েন্সের মুখপাত্র বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে এসইজেড রিফাইনারি থেকে যে সব পণ্য রপ্তানি করা হবে, সেগুলো রাশিয়া–বহির্ভূত উৎস থেকে আনা অপরিশোধিত তেল থেকে উৎপাদিত হবে। ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন আমদানি বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই আগাম এই পদক্ষেপ।

জামনগরে রিলায়েন্সের দুটি রিফাইনারি রয়েছে—একটি ডমেস্টিক ট্যারিফ এরিয়া (ডিটিএ) ইউনিট, যা মূলত ভারতীয় বাজারে জ্বালানি সরবরাহ করে। আরেকটি হলো এসইজেড ইউনিট, যেখান থেকে সম্পূর্ণ রপ্তানিমুখী উৎপাদন হয়।

রাশিয়ার বৃহত্তম দুই তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট ও লুকঅয়েল এত দিন রিলায়েন্সকে বেশির ভাগ অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে আসছিল। রোসনেফ্টের সঙ্গে প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেলের চুক্তিও রয়েছে রিলায়েন্সের। তবে এই দুই কোম্পানির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ২২ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। ২১ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিনই রিলায়েন্স তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয়।

মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউক্রেনে পুতিনের ভয়াবহ ও অযৌক্তিক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাই রাশিয়ার তেল কোম্পানিগুলো জোগাচ্ছে। পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে চাপ দিতেই রোসনেফ্ট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।’

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলোর ওপর ওয়াশিংটন নতুন সেনেট আইনের মাধ্যমে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে।