ব্রেকিং
শরীয়াহ নীতি অনুসরণ না করায় ইসলামী ব্যাংকগুলোর অর্থ লুট: বিআইবিএম
ডকুমেন্টেশন ত্রুটি ও প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে ইসলামী ব্যাংকগুলোতে পরিচালনাগত ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

শরীয়াহ নীতিমালা সঠিকভাবে অনুসরণ না করায় ইসলামী ব্যাংকগুলো থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এছাড়া ডকুমেন্টেশন ত্রুটি ও প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে ব্যাংকগুলোতে পরিচালনাগত ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনায় বক্তারা ইসলামী ব্যাংকিং আইন প্রণয়ন জরুরি বলে জানান।

বিআইবিএমের গবেষণা বলছে, ভুল চুক্তি, জটিল ডকুমেন্টেশন আর ম্যানুয়াল প্রসেসিং সিস্টেম ইসলামী ব্যাংকগুলোর পরিচালনগত ঝুঁকির বড় উৎস। এছাড়া যোগ্য নয় এমন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে দায়িত্ব দেয়া এবং নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অর্থ লুট করা হয়েছে।

বিআইবিএম সহযোগী অধ্যাপক মহব্বত হোসেন বলেন, ‘যে ফাইন্যান্সগুলো করা হয়েছে, সেগুলোতে কোনো ব্যাংকিং নর্মসই ব্যবহার করা হয় নাই– শরীয়াহ বলি আর কনভেসশনাল বলি। ২০০ কোটি ২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে সেটা আগে দাও, কেবল ডকুমেন্ট ঠিক রাখা হয়েছে।’

দেশে ইসলামী ব্যাংক খাত দ্রুত সম্প্রসারিত হলেও, গবেষণায় দেখা গেছে, এসব ব্যাংকে এখনো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো পুরোপুরি উন্নত নয়। বিআইবিএম মহাপরিচালক মাহবুবুল হক বলেন, ‘জাকাত পর্যন্ত শ’য়ে শ’য়ে কোটি কোটি টাকা এই পরিচালকেরা ভাগ করে নিয়েছে। এরপর আর কোনো উদাহরণ লাগে না।’

আলোচনায় বলা হয়, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো যেখানে ঝুঁকি ইউনিট ও শরীয়াহ বোর্ডকে একীভূত করে কার্যকর মডেল গড়ে তুলছে, সেখানে বাংলাদেশও চাইলে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।