উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও কমছে না পেঁয়াজের দাম

উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও কমছে না পেঁয়াজের দাম
সিটিজেন ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৮

দেশে পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। মাত্র ১০ দিন আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে। কিন্তু ২ নভেম্বর থেকে দাম হু হু করে বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। সরকারের বিভিন্ন ঘোষণা আসার পরও দাম কমেনি। সবশেষ ৯ নভেম্বর বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তবে উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও বাজারে দাম কমেনি।
রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে, ছোট সাইজের পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, আর বড় সাইজের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, গতকালের তুলনায় আজ দাম কিছুটা বেড়েছে।
ধলপুর বাজারের আকলিমা জেনারেল স্টোরের মালিক রমজান আলী বলেন, “আমরা শ্যামবাজার পাইকারি আড়ত থেকে প্রতিদিন পেঁয়াজ এনে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় আমরা ও বেশি দামে বিক্রি করি। নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে ভারতের পেঁয়াজ এলে দেশি পেঁয়াজের দামও কমবে।”
শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট সাইজের পেঁয়াজের দাম গতকালের ৯৭-৯৮ টাকার তুলনায় বেড়ে ১০০-১০৫ টাকায় পৌঁছেছে। বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়, যা গতকালের সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা ছিল।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো- উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাব, মৌসুমের শেষ পর্যায় এবং বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হওয়া। সাধারণত, প্রতিবছর এই সময়গুলোতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। এবছর এতে আরও যুক্ত হয়েছে আমদানি বন্ধ থাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতি বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দামে বড় ওঠানামা দেখা যায়। নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত অস্থিরতা চলমান থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে এই সংকট তৈরি করেন। সরকারের উচিত বছরের শেষ সময়ে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির পেছনে কৃত্রিম কারণে বাজার অস্থিতিশীল করা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজ সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলোতে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা হয়েছে। এক পক্ষ মোটা মুনাফা আয়ের জন্য কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে আগের মৌসুমের সাড়ে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে। চলতি মাসেই নতুন মৌসুমের ১ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে এবং আগামী মাসে আরও ২ লাখ ৫ হাজার টন পৌঁছাবে। সুতরাং, দেশে পেঁয়াজের কোনো বাস্তব সংকট নেই।
ভারতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বর্তমানে কেজিপ্রতি ৮ রুপি (প্রায় ১২ টাকা)। এই অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানি করলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের লাভ হবে, ক্ষতি হবে দেশের কৃষকের। তাই বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আপাতত আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তবে দাম স্বাভাবিক হলে আর অনুমতি দেওয়া হবে না।” তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগ্রহী ২৮০০ জনের আবেদন আছে, যার ১০ শতাংশকেও অনুমতি দিলে বাজারে দাম কমে যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য সুপারিশ করেছে। কমিশনের মতে, স্থানীয় বাজারে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম অস্থিতিশীল করছেন। বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকার মধ্যে থাকা উচিত হলেও দাম অনেক বেড়ে গেছে, যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশে দাম মাত্র ৩০ টাকার মতো। তাই দ্রুত অনুমতি দিয়ে বাজার স্থিতিশীল করতে কমিশন এ সুপারিশ করেছে।

দেশে পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। মাত্র ১০ দিন আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে। কিন্তু ২ নভেম্বর থেকে দাম হু হু করে বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। সরকারের বিভিন্ন ঘোষণা আসার পরও দাম কমেনি। সবশেষ ৯ নভেম্বর বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তবে উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও বাজারে দাম কমেনি।
রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে, ছোট সাইজের পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, আর বড় সাইজের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, গতকালের তুলনায় আজ দাম কিছুটা বেড়েছে।
ধলপুর বাজারের আকলিমা জেনারেল স্টোরের মালিক রমজান আলী বলেন, “আমরা শ্যামবাজার পাইকারি আড়ত থেকে প্রতিদিন পেঁয়াজ এনে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় আমরা ও বেশি দামে বিক্রি করি। নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে ভারতের পেঁয়াজ এলে দেশি পেঁয়াজের দামও কমবে।”
শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট সাইজের পেঁয়াজের দাম গতকালের ৯৭-৯৮ টাকার তুলনায় বেড়ে ১০০-১০৫ টাকায় পৌঁছেছে। বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়, যা গতকালের সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা ছিল।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো- উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাব, মৌসুমের শেষ পর্যায় এবং বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হওয়া। সাধারণত, প্রতিবছর এই সময়গুলোতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। এবছর এতে আরও যুক্ত হয়েছে আমদানি বন্ধ থাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতি বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দামে বড় ওঠানামা দেখা যায়। নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত অস্থিরতা চলমান থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে এই সংকট তৈরি করেন। সরকারের উচিত বছরের শেষ সময়ে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির পেছনে কৃত্রিম কারণে বাজার অস্থিতিশীল করা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজ সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলোতে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা হয়েছে। এক পক্ষ মোটা মুনাফা আয়ের জন্য কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে আগের মৌসুমের সাড়ে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে। চলতি মাসেই নতুন মৌসুমের ১ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে এবং আগামী মাসে আরও ২ লাখ ৫ হাজার টন পৌঁছাবে। সুতরাং, দেশে পেঁয়াজের কোনো বাস্তব সংকট নেই।
ভারতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বর্তমানে কেজিপ্রতি ৮ রুপি (প্রায় ১২ টাকা)। এই অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানি করলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের লাভ হবে, ক্ষতি হবে দেশের কৃষকের। তাই বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আপাতত আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তবে দাম স্বাভাবিক হলে আর অনুমতি দেওয়া হবে না।” তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগ্রহী ২৮০০ জনের আবেদন আছে, যার ১০ শতাংশকেও অনুমতি দিলে বাজারে দাম কমে যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য সুপারিশ করেছে। কমিশনের মতে, স্থানীয় বাজারে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম অস্থিতিশীল করছেন। বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকার মধ্যে থাকা উচিত হলেও দাম অনেক বেড়ে গেছে, যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশে দাম মাত্র ৩০ টাকার মতো। তাই দ্রুত অনুমতি দিয়ে বাজার স্থিতিশীল করতে কমিশন এ সুপারিশ করেছে।

উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও কমছে না পেঁয়াজের দাম
সিটিজেন ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৮

দেশে পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। মাত্র ১০ দিন আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে। কিন্তু ২ নভেম্বর থেকে দাম হু হু করে বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। সরকারের বিভিন্ন ঘোষণা আসার পরও দাম কমেনি। সবশেষ ৯ নভেম্বর বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তবে উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও বাজারে দাম কমেনি।
রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে, ছোট সাইজের পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, আর বড় সাইজের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, গতকালের তুলনায় আজ দাম কিছুটা বেড়েছে।
ধলপুর বাজারের আকলিমা জেনারেল স্টোরের মালিক রমজান আলী বলেন, “আমরা শ্যামবাজার পাইকারি আড়ত থেকে প্রতিদিন পেঁয়াজ এনে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় আমরা ও বেশি দামে বিক্রি করি। নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে ভারতের পেঁয়াজ এলে দেশি পেঁয়াজের দামও কমবে।”
শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট সাইজের পেঁয়াজের দাম গতকালের ৯৭-৯৮ টাকার তুলনায় বেড়ে ১০০-১০৫ টাকায় পৌঁছেছে। বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়, যা গতকালের সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা ছিল।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো- উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাব, মৌসুমের শেষ পর্যায় এবং বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হওয়া। সাধারণত, প্রতিবছর এই সময়গুলোতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। এবছর এতে আরও যুক্ত হয়েছে আমদানি বন্ধ থাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতি বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দামে বড় ওঠানামা দেখা যায়। নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত অস্থিরতা চলমান থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে এই সংকট তৈরি করেন। সরকারের উচিত বছরের শেষ সময়ে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির পেছনে কৃত্রিম কারণে বাজার অস্থিতিশীল করা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজ সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে প্রতিবেশী ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলোতে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ জমা হয়েছে। এক পক্ষ মোটা মুনাফা আয়ের জন্য কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে আগের মৌসুমের সাড়ে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে। চলতি মাসেই নতুন মৌসুমের ১ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে এবং আগামী মাসে আরও ২ লাখ ৫ হাজার টন পৌঁছাবে। সুতরাং, দেশে পেঁয়াজের কোনো বাস্তব সংকট নেই।
ভারতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বর্তমানে কেজিপ্রতি ৮ রুপি (প্রায় ১২ টাকা)। এই অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানি করলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের লাভ হবে, ক্ষতি হবে দেশের কৃষকের। তাই বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আপাতত আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তবে দাম স্বাভাবিক হলে আর অনুমতি দেওয়া হবে না।” তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগ্রহী ২৮০০ জনের আবেদন আছে, যার ১০ শতাংশকেও অনুমতি দিলে বাজারে দাম কমে যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য সুপারিশ করেছে। কমিশনের মতে, স্থানীয় বাজারে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম অস্থিতিশীল করছেন। বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকার মধ্যে থাকা উচিত হলেও দাম অনেক বেড়ে গেছে, যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশে দাম মাত্র ৩০ টাকার মতো। তাই দ্রুত অনুমতি দিয়ে বাজার স্থিতিশীল করতে কমিশন এ সুপারিশ করেছে।