‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’
সিটিজেন ডেস্ক

প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রজাপতি মেলা-২০২৫। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে চলে এ মেলা। মেলায় সাদা রঙের জালের মধ্যে বাহারি রঙের প্রজাপতি রাখা হয় বিভিন্ন ফুল গাছে। মেলায় এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’।
মেলায় দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও প্রকৃতি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। তিনি বলেন, প্রজাপতিসহ সকল প্রাণীর প্রতি আমাদের মানবিক ও যথাযথ আচরণ করতে হবে। মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে এবং এসব প্রাণী আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রাণী সংরক্ষণে মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে যথাযথ টেকসই উন্নয়নের উপাদান ব্যবহার করতে হবে, তাহলে এসব প্রাণীর ওপর যথাযথ আচরণ করা হবে। তিনি মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নিজেদের মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে যে অবনতি হয়েছে সেই পরিস্থিতি উন্নয়নেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মেলার আহ্বায়ক ড. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি যে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। প্রজাপতি মেলার উদ্দেশ্য হলো- গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা করা।
দিনব্যাপী আয়োজন উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান মেলায়। দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে মেলায় ঘুরতে আসা নাহিদা আক্তার বলেন, মেলার কথা জানতে পেরে সন্তানদের নিয়ে ছুটে এসেছি। ঢাকা শহরে চিত্তবিনোদনের তেমন একটা জায়গা নেই। আজ মেলায় প্রজাপতি, পাপেট শো, গান, ছবি আঁকা দেখে ভাল লাগছে।
সাভার থেকে ঘুরতে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবারসহ এখানে এসেছি। এটা খুবই চমৎকার একটি আয়োজন। শিশুরাও এখানে এসে খুবই উৎফুল্ল। ভিন্নধর্মী এ আয়োজন করার জন্য মেলার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এবারের মেলায় প্রকৃতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদ ড. আলী রেজা খানকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। বাটারফ্লাই ইয়াং এনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নুরে আফসারী ও শাহরিয়ার রাব্বি তন্ময়কে।
এছাড়া আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পান সৈয়দ আব্বাস, মাহমুদুল বারি ও প্রিন্স পাল জয়। মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আহসান হাবীব (একুশে টেলিভিশন), মো. মিজানুর রহমান (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও শাহ আলম (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা)।
এবারের মেলার টাইটেল স্পন্সর ‘কিউট । সহযোগিতায় ছিল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), অরণ্যক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ বন বিভাগ।

প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রজাপতি মেলা-২০২৫। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে চলে এ মেলা। মেলায় সাদা রঙের জালের মধ্যে বাহারি রঙের প্রজাপতি রাখা হয় বিভিন্ন ফুল গাছে। মেলায় এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’।
মেলায় দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও প্রকৃতি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। তিনি বলেন, প্রজাপতিসহ সকল প্রাণীর প্রতি আমাদের মানবিক ও যথাযথ আচরণ করতে হবে। মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে এবং এসব প্রাণী আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রাণী সংরক্ষণে মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে যথাযথ টেকসই উন্নয়নের উপাদান ব্যবহার করতে হবে, তাহলে এসব প্রাণীর ওপর যথাযথ আচরণ করা হবে। তিনি মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নিজেদের মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে যে অবনতি হয়েছে সেই পরিস্থিতি উন্নয়নেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মেলার আহ্বায়ক ড. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি যে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। প্রজাপতি মেলার উদ্দেশ্য হলো- গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা করা।
দিনব্যাপী আয়োজন উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান মেলায়। দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে মেলায় ঘুরতে আসা নাহিদা আক্তার বলেন, মেলার কথা জানতে পেরে সন্তানদের নিয়ে ছুটে এসেছি। ঢাকা শহরে চিত্তবিনোদনের তেমন একটা জায়গা নেই। আজ মেলায় প্রজাপতি, পাপেট শো, গান, ছবি আঁকা দেখে ভাল লাগছে।
সাভার থেকে ঘুরতে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবারসহ এখানে এসেছি। এটা খুবই চমৎকার একটি আয়োজন। শিশুরাও এখানে এসে খুবই উৎফুল্ল। ভিন্নধর্মী এ আয়োজন করার জন্য মেলার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এবারের মেলায় প্রকৃতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদ ড. আলী রেজা খানকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। বাটারফ্লাই ইয়াং এনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নুরে আফসারী ও শাহরিয়ার রাব্বি তন্ময়কে।
এছাড়া আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পান সৈয়দ আব্বাস, মাহমুদুল বারি ও প্রিন্স পাল জয়। মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আহসান হাবীব (একুশে টেলিভিশন), মো. মিজানুর রহমান (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও শাহ আলম (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা)।
এবারের মেলার টাইটেল স্পন্সর ‘কিউট । সহযোগিতায় ছিল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), অরণ্যক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ বন বিভাগ।

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’
সিটিজেন ডেস্ক

প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রজাপতি মেলা-২০২৫। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে চলে এ মেলা। মেলায় সাদা রঙের জালের মধ্যে বাহারি রঙের প্রজাপতি রাখা হয় বিভিন্ন ফুল গাছে। মেলায় এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’।
মেলায় দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও প্রকৃতি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। তিনি বলেন, প্রজাপতিসহ সকল প্রাণীর প্রতি আমাদের মানবিক ও যথাযথ আচরণ করতে হবে। মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে এবং এসব প্রাণী আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রাণী সংরক্ষণে মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে যথাযথ টেকসই উন্নয়নের উপাদান ব্যবহার করতে হবে, তাহলে এসব প্রাণীর ওপর যথাযথ আচরণ করা হবে। তিনি মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নিজেদের মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে যে অবনতি হয়েছে সেই পরিস্থিতি উন্নয়নেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মেলার আহ্বায়ক ড. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি যে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। প্রজাপতি মেলার উদ্দেশ্য হলো- গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা করা।
দিনব্যাপী আয়োজন উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান মেলায়। দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে মেলায় ঘুরতে আসা নাহিদা আক্তার বলেন, মেলার কথা জানতে পেরে সন্তানদের নিয়ে ছুটে এসেছি। ঢাকা শহরে চিত্তবিনোদনের তেমন একটা জায়গা নেই। আজ মেলায় প্রজাপতি, পাপেট শো, গান, ছবি আঁকা দেখে ভাল লাগছে।
সাভার থেকে ঘুরতে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবারসহ এখানে এসেছি। এটা খুবই চমৎকার একটি আয়োজন। শিশুরাও এখানে এসে খুবই উৎফুল্ল। ভিন্নধর্মী এ আয়োজন করার জন্য মেলার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এবারের মেলায় প্রকৃতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদ ড. আলী রেজা খানকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। বাটারফ্লাই ইয়াং এনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নুরে আফসারী ও শাহরিয়ার রাব্বি তন্ময়কে।
এছাড়া আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পান সৈয়দ আব্বাস, মাহমুদুল বারি ও প্রিন্স পাল জয়। মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আহসান হাবীব (একুশে টেলিভিশন), মো. মিজানুর রহমান (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন) ও শাহ আলম (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা)।
এবারের মেলার টাইটেল স্পন্সর ‘কিউট । সহযোগিতায় ছিল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), অরণ্যক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ বন বিভাগ।