ব্রেকিং
চট্টগ্রামে সরকারি কলেজগুলোর প্রভাষকদের ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি শুরু
পদোন্নতি বন্ধ থাকায় আজ সকাল থেকে চট্টগ্রামে সরকারি কলেজ প্রভাষকদের ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ছবি: সংগ্রহীত

চট্টগ্রামে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকেরা। এতে সরকারি কলেজগুলোতে পাঠদান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই কর্মবিরতিতে যান প্রভাষকেরা।

চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজের প্রভাষকেরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধিবহির্ভূত ও বিতর্কিত নির্দেশনার কারণে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। ৩২তম থেকে ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের কয়েক হাজার কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকলেও কোনো দপ্তরই তাঁদের দাবি শুনছে না। অনেকের চাকরিজীবনে একই পদে ১২ বছর কেটে গেছে। এ অবস্থায় ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ জমে ওঠে। তারই প্রেক্ষিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি।

সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক তাহের শওকত বলেন, ‘যোগ্য প্রভাষকদের ভূতাপেক্ষভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জিও জারি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রামের সরকারি কলেজগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ বিভাগে বন্ধ রয়েছে পাঠদান। ইনকোর্স, ক্লাস টেস্টসহ নির্ধারিত পরীক্ষাগুলোও অনুষ্ঠিত হয়নি। একই ছবি দেখা গেছে সব সরকারি কলেজে।

শিক্ষকেরা জানান, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পদোন্নতি প্রায় ১৭ মাস ধরে বন্ধ। চলতি বছরের ৪ জুন ডিপিসির প্রথম বৈঠক হলেও গত পাঁচ মাসেও কোনো পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। আত্তীকৃত শিক্ষকদের মামলার অজুহাত দেখিয়ে পুরো প্রক্রিয়া আটকে রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তথ্যমতে, ৩২তম ও ৩৩তম বিসিএসের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরও প্রথম পদোন্নতি পাননি। ৩৪তম ব্যাচের ক্ষেত্রে ১০ বছর, ৩৫তম ব্যাচে ৯ বছর, ৩৬তম ব্যাচে ৮ বছর এবং ৩৭তম ব্যাচে ৭ বছর পার হলেও এখনো পদোন্নতির মুখ দেখেননি তাঁরা।