অবরোধ তুলে নিলো শিক্ষার্থীরা

অবরোধ তুলে নিলো শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি খসড়া অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল করে শতাধিক শিক্ষার্থী মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন, ফলে নিউমার্কেট-মিরপুর সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় যানবাহনে আটকা পড়া অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হতে দেখা যায়। এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা। এরপর সড়ক স্বাভাবিক হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শত বছরের ইতিহাস, সুনাম ও স্বকীয়তা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা বলেন, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়ার আগেই নেওয়া হয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, নতুন কাঠামো চাপিয়ে দিলে প্রশাসনিক জটিলতা, শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামোগত ঘাটতি আরও বাড়বে। পাশাপাশি কলেজগুলোর ঐতিহ্য ও ব্র্যান্ড বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা চাই সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি স্কুলিং মডেল নয় বরং অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কাঠামো হোক।”
এদিকে অবরোধের কারণে পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মিরপুরগামী এক পথচারী বলেন, “দেশে কিছু হলেই রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন হয়, আন্দোলন করেন ভালো কথা, কিন্তু সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা ঠিক নয়।” ৎ
অন্য এক পথচারী জানান, “অবরোধের কারণে বাস পাওয়া যায়নি, বাধ্য হয়ে হাঁটতে হয়েছিল।”
পুলিশের ধানমণ্ডি অঞ্চলের এডিসি জিসানুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কিছু সময় সড়ক বন্ধ ছিল। পরে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই উদ্যোগ উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক জটিলতা কমানো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ হ্রাসের জন্য নেওয়া হয়েছে। ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি অংশীজনদের মতামত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রস্তাব করেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খসড়ায় সাত কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ইন্টারডিসিপ্লিনারি কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যেখানে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তিন পর্যায়ের পাঠদান চালু থাকবে।

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি খসড়া অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল করে শতাধিক শিক্ষার্থী মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন, ফলে নিউমার্কেট-মিরপুর সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় যানবাহনে আটকা পড়া অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হতে দেখা যায়। এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা। এরপর সড়ক স্বাভাবিক হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শত বছরের ইতিহাস, সুনাম ও স্বকীয়তা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা বলেন, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়ার আগেই নেওয়া হয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, নতুন কাঠামো চাপিয়ে দিলে প্রশাসনিক জটিলতা, শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামোগত ঘাটতি আরও বাড়বে। পাশাপাশি কলেজগুলোর ঐতিহ্য ও ব্র্যান্ড বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা চাই সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি স্কুলিং মডেল নয় বরং অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কাঠামো হোক।”
এদিকে অবরোধের কারণে পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মিরপুরগামী এক পথচারী বলেন, “দেশে কিছু হলেই রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন হয়, আন্দোলন করেন ভালো কথা, কিন্তু সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা ঠিক নয়।” ৎ
অন্য এক পথচারী জানান, “অবরোধের কারণে বাস পাওয়া যায়নি, বাধ্য হয়ে হাঁটতে হয়েছিল।”
পুলিশের ধানমণ্ডি অঞ্চলের এডিসি জিসানুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কিছু সময় সড়ক বন্ধ ছিল। পরে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই উদ্যোগ উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক জটিলতা কমানো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ হ্রাসের জন্য নেওয়া হয়েছে। ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি অংশীজনদের মতামত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রস্তাব করেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খসড়ায় সাত কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ইন্টারডিসিপ্লিনারি কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যেখানে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তিন পর্যায়ের পাঠদান চালু থাকবে।

অবরোধ তুলে নিলো শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি খসড়া অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল করে শতাধিক শিক্ষার্থী মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন, ফলে নিউমার্কেট-মিরপুর সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় যানবাহনে আটকা পড়া অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হতে দেখা যায়। এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা। এরপর সড়ক স্বাভাবিক হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শত বছরের ইতিহাস, সুনাম ও স্বকীয়তা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা বলেন, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়ার আগেই নেওয়া হয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, নতুন কাঠামো চাপিয়ে দিলে প্রশাসনিক জটিলতা, শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামোগত ঘাটতি আরও বাড়বে। পাশাপাশি কলেজগুলোর ঐতিহ্য ও ব্র্যান্ড বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা চাই সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি স্কুলিং মডেল নয় বরং অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কাঠামো হোক।”
এদিকে অবরোধের কারণে পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মিরপুরগামী এক পথচারী বলেন, “দেশে কিছু হলেই রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন হয়, আন্দোলন করেন ভালো কথা, কিন্তু সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা ঠিক নয়।” ৎ
অন্য এক পথচারী জানান, “অবরোধের কারণে বাস পাওয়া যায়নি, বাধ্য হয়ে হাঁটতে হয়েছিল।”
পুলিশের ধানমণ্ডি অঞ্চলের এডিসি জিসানুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কিছু সময় সড়ক বন্ধ ছিল। পরে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই উদ্যোগ উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক জটিলতা কমানো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ হ্রাসের জন্য নেওয়া হয়েছে। ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি অংশীজনদের মতামত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রস্তাব করেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খসড়ায় সাত কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ইন্টারডিসিপ্লিনারি কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যেখানে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তিন পর্যায়ের পাঠদান চালু থাকবে।