সার্কের বিকল্প জোটের কথা বলছে পাকিস্তান, যুক্ত হতে পারে আরও দেশ

সার্কের বিকল্প জোটের কথা বলছে পাকিস্তান, যুক্ত হতে পারে আরও দেশ
সিটিজেন ডেস্ক

অচলাবস্থায় থাকা সার্ককে পাশ কাটিয়ে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনকে নিয়ে যে ত্রিদেশীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটিকে আরও বড় পরিসরে বিস্তারের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তার ভাষায়, 'এই অঞ্চলের বাইরের দেশও এতে যুক্ত হতে পারে।'
গত বুধবার ইসলামাবাদ কনক্লেভ ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসহাক দার বলেন, 'আমরা নিজেরা লাভবান হয়ে অন্যের ক্ষতি করতে চাই না। সংঘাতের বদলে সহযোগিতাকেই প্রাধান্য দিই।' তার বক্তব্যেই স্পষ্ট, সার্ক অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান বিকল্প একটি সহযোগিতার কাঠামো দাঁড় করাতে চাইছে।
সার্কের অচলাবস্থা ও জোটের প্রেক্ষাপট
গত জুনে চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কূটনীতিকরা একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। তখনই বলা হয়, এই উদ্যোগ কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নয়। এর মধ্যেই ভারত–পাকিস্তানের পুরনো উত্তেজনা এবং সাম্প্রতিক সংঘাত নতুন করে আঞ্চলিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। মে মাসে দুই দেশের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
এদিকে, চব্বিশের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার পর সেই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় আন্তর্জাতিক মহলে।
ইসহাক দার বলেন, 'আমাদের উন্নয়নকে কারও অনমনীয়তার কাছে জিম্মি করা যাবে না। আপনারা জানেন আমি কাদের কথা বলছি।' ভারতের সঙ্গে গত ১১ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ ঝুলে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক অনিশ্চিত।'
পাকিস্তান এমন একটি দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্ন দেখে যেখানে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বন্দ্ব নিরসন প্রাধান্য পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাবেয়া আক্তার মনে করেন, পাকিস্তানের প্রস্তাব 'বাস্তবতার চেয়ে বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী', তবে এর মধ্যেই একটি রাজনৈতিক বার্তা আছে যে সার্ক অকার্যকর, তাই ইসলামাবাদ নতুন পথে এগোতে চাইছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের শাবাব ইনাম খান বলেন, প্রয়োজনীয় হলেও দক্ষিণ এশিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তানির্ভর রাজনীতির ফাঁদে আটকে আছে, ফলে বাস্তব সহযোগিতা গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রবীণ দোন্থি মনে করেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক খারাপ থাকায় সার্ক কার্যত মৃত। তাই নতুন জোট গঠনের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়া এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার পথ আরও উন্মুক্ত।
তবে রাবেয়া আক্তারের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আগ্রহ দেখালেও আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন জোটে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত-বিশেষত যদি এতে যুক্ত হওয়া ভারতের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক মূল্য তৈরি করে।
সার্কের গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের এই জোটটি এখনও নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত–পাকিস্তান বৈরিতা সার্কের প্রধান অন্তরায়। বাণিজ্যও অত্যন্ত সীমিত, পুরো অঞ্চলের বাণিজ্যের মাত্র পাঁচ শতাংশ হয় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাধা দূর হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন বাতিল হওয়ার পর জোটটি কার্যত স্থবির।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের উদ্যোগ সফল হলে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে এবং ভারত–চীনের প্রতিযোগিতা বাড়বে। তবে আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন কাঠামো তৈরি হলেও তা কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে দক্ষিণ এশিয়ার জটিল রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর।
সূত্র: আল জাজিরা

অচলাবস্থায় থাকা সার্ককে পাশ কাটিয়ে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনকে নিয়ে যে ত্রিদেশীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটিকে আরও বড় পরিসরে বিস্তারের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তার ভাষায়, 'এই অঞ্চলের বাইরের দেশও এতে যুক্ত হতে পারে।'
গত বুধবার ইসলামাবাদ কনক্লেভ ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসহাক দার বলেন, 'আমরা নিজেরা লাভবান হয়ে অন্যের ক্ষতি করতে চাই না। সংঘাতের বদলে সহযোগিতাকেই প্রাধান্য দিই।' তার বক্তব্যেই স্পষ্ট, সার্ক অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান বিকল্প একটি সহযোগিতার কাঠামো দাঁড় করাতে চাইছে।
সার্কের অচলাবস্থা ও জোটের প্রেক্ষাপট
গত জুনে চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কূটনীতিকরা একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। তখনই বলা হয়, এই উদ্যোগ কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নয়। এর মধ্যেই ভারত–পাকিস্তানের পুরনো উত্তেজনা এবং সাম্প্রতিক সংঘাত নতুন করে আঞ্চলিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। মে মাসে দুই দেশের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
এদিকে, চব্বিশের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার পর সেই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় আন্তর্জাতিক মহলে।
ইসহাক দার বলেন, 'আমাদের উন্নয়নকে কারও অনমনীয়তার কাছে জিম্মি করা যাবে না। আপনারা জানেন আমি কাদের কথা বলছি।' ভারতের সঙ্গে গত ১১ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ ঝুলে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক অনিশ্চিত।'
পাকিস্তান এমন একটি দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্ন দেখে যেখানে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বন্দ্ব নিরসন প্রাধান্য পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাবেয়া আক্তার মনে করেন, পাকিস্তানের প্রস্তাব 'বাস্তবতার চেয়ে বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী', তবে এর মধ্যেই একটি রাজনৈতিক বার্তা আছে যে সার্ক অকার্যকর, তাই ইসলামাবাদ নতুন পথে এগোতে চাইছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের শাবাব ইনাম খান বলেন, প্রয়োজনীয় হলেও দক্ষিণ এশিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তানির্ভর রাজনীতির ফাঁদে আটকে আছে, ফলে বাস্তব সহযোগিতা গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রবীণ দোন্থি মনে করেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক খারাপ থাকায় সার্ক কার্যত মৃত। তাই নতুন জোট গঠনের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়া এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার পথ আরও উন্মুক্ত।
তবে রাবেয়া আক্তারের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আগ্রহ দেখালেও আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন জোটে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত-বিশেষত যদি এতে যুক্ত হওয়া ভারতের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক মূল্য তৈরি করে।
সার্কের গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের এই জোটটি এখনও নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত–পাকিস্তান বৈরিতা সার্কের প্রধান অন্তরায়। বাণিজ্যও অত্যন্ত সীমিত, পুরো অঞ্চলের বাণিজ্যের মাত্র পাঁচ শতাংশ হয় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাধা দূর হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন বাতিল হওয়ার পর জোটটি কার্যত স্থবির।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের উদ্যোগ সফল হলে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে এবং ভারত–চীনের প্রতিযোগিতা বাড়বে। তবে আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন কাঠামো তৈরি হলেও তা কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে দক্ষিণ এশিয়ার জটিল রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর।
সূত্র: আল জাজিরা

সার্কের বিকল্প জোটের কথা বলছে পাকিস্তান, যুক্ত হতে পারে আরও দেশ
সিটিজেন ডেস্ক

অচলাবস্থায় থাকা সার্ককে পাশ কাটিয়ে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনকে নিয়ে যে ত্রিদেশীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটিকে আরও বড় পরিসরে বিস্তারের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তার ভাষায়, 'এই অঞ্চলের বাইরের দেশও এতে যুক্ত হতে পারে।'
গত বুধবার ইসলামাবাদ কনক্লেভ ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসহাক দার বলেন, 'আমরা নিজেরা লাভবান হয়ে অন্যের ক্ষতি করতে চাই না। সংঘাতের বদলে সহযোগিতাকেই প্রাধান্য দিই।' তার বক্তব্যেই স্পষ্ট, সার্ক অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান বিকল্প একটি সহযোগিতার কাঠামো দাঁড় করাতে চাইছে।
সার্কের অচলাবস্থা ও জোটের প্রেক্ষাপট
গত জুনে চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কূটনীতিকরা একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। তখনই বলা হয়, এই উদ্যোগ কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নয়। এর মধ্যেই ভারত–পাকিস্তানের পুরনো উত্তেজনা এবং সাম্প্রতিক সংঘাত নতুন করে আঞ্চলিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। মে মাসে দুই দেশের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
এদিকে, চব্বিশের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার পর সেই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় আন্তর্জাতিক মহলে।
ইসহাক দার বলেন, 'আমাদের উন্নয়নকে কারও অনমনীয়তার কাছে জিম্মি করা যাবে না। আপনারা জানেন আমি কাদের কথা বলছি।' ভারতের সঙ্গে গত ১১ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ ঝুলে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক অনিশ্চিত।'
পাকিস্তান এমন একটি দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্ন দেখে যেখানে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বন্দ্ব নিরসন প্রাধান্য পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাবেয়া আক্তার মনে করেন, পাকিস্তানের প্রস্তাব 'বাস্তবতার চেয়ে বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী', তবে এর মধ্যেই একটি রাজনৈতিক বার্তা আছে যে সার্ক অকার্যকর, তাই ইসলামাবাদ নতুন পথে এগোতে চাইছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের শাবাব ইনাম খান বলেন, প্রয়োজনীয় হলেও দক্ষিণ এশিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তানির্ভর রাজনীতির ফাঁদে আটকে আছে, ফলে বাস্তব সহযোগিতা গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রবীণ দোন্থি মনে করেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক খারাপ থাকায় সার্ক কার্যত মৃত। তাই নতুন জোট গঠনের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়া এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার পথ আরও উন্মুক্ত।
তবে রাবেয়া আক্তারের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আগ্রহ দেখালেও আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন জোটে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত-বিশেষত যদি এতে যুক্ত হওয়া ভারতের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক মূল্য তৈরি করে।
সার্কের গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের এই জোটটি এখনও নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত–পাকিস্তান বৈরিতা সার্কের প্রধান অন্তরায়। বাণিজ্যও অত্যন্ত সীমিত, পুরো অঞ্চলের বাণিজ্যের মাত্র পাঁচ শতাংশ হয় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাধা দূর হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন বাতিল হওয়ার পর জোটটি কার্যত স্থবির।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের উদ্যোগ সফল হলে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে এবং ভারত–চীনের প্রতিযোগিতা বাড়বে। তবে আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন কাঠামো তৈরি হলেও তা কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে দক্ষিণ এশিয়ার জটিল রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর।
সূত্র: আল জাজিরা