আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব!

আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব!
আন্তর্জাতিক জার্নাল

গাজা, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। লাতিন আমেরিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ তথ্য জানান। ভেনেজুয়েলার ভেতর থাকা মাদক সাম্রাজ্যের অবকাঠামো এ হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তার দাবি, ভেনেজুয়েলার মাদক চক্রগুলো বিপুল পরিমাণ ফেনটানিল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে, যার কারণে প্রতি বছর হাজারো মার্কিন নাগরিক প্রাণ হারাচ্ছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, শুধু গত বছরই ফেনটানিলের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “নৌপথে যেমন অভিযান চালাচ্ছি, তেমনি স্থল পথেও হামলা শুরু করব। আপনারা জানেন, স্থলপথে অভিযান নৌপথের চেয়ে অনেক সহজ। আমরা জানি তারা কোন রুট ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান করে। আমরা তাদের সম্পর্কে সব জানি, তারা কোথায় থাকে, কীভাবে কাজ করে। খুব শিগগিরই আমরা তাদের লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করব।”
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের অবস্থান আরও কঠোর হয়েছে। ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বড় ধরনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে মাদক পাচারের সন্দেহে ভেনেজুয়েলার বেশ কিছু নৌযানে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা এড়ানোর জন্যও সতর্কতা জারি করেছেন ট্রাম্প।
এ অবস্থায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় সরাসরি সামরিক অভিযান চালাতে পারে। শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প মাদুরো সরকারের পতনও চান।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সোমবার কারাকাসে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
সমর্থকের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, দাসত্বের মাধ্যমে শান্তি পেতে চায় না ভেনেজুয়েলা।
যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বাড়ার পর নিজেদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলাও। এ প্রসঙ্গে মাদুরো বলেন, “গত ২২ সপ্তাহ ধরে আমাদের ওপর আগ্রাসন চালানো হয়েছে। একে মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাসবাদই বলা যায়। এই সময় জুড়ে তারা আমাদের পরীক্ষা করেছে, আর ভেনেজুয়েলার জনগণ তাদের জন্মভূমির প্রতি অটল ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন।”
গত কয়েক মাস ধরে ক্যারিবীয় এলাকায় যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইতোমধ্যে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে বেশ কয়েকটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে।
এমনই একটি নৌকার ওপর মার্কিন সেনাদের দুই দফা হামলার একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রথম হামলায় কয়েকজন নিহত হওয়ার পরও অন্তত দুজন জীবিত ছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে তাদেরও হত্যা করা হয়।
ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর এর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলেও ট্রাম্প এ হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় তিনি বলেন, “মাদক চোরাচালানকারীরা গত বছর দুই লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এ সংখ্যা কমাতে চাই। মাদকের সঙ্গে জড়িত সেই সব অপরাধীদের আমরা নিশ্চিহ্ন করে দেব। আমাদের দেশে আর মাদক প্রবেশ করতে দেব না।”

গাজা, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। লাতিন আমেরিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ তথ্য জানান। ভেনেজুয়েলার ভেতর থাকা মাদক সাম্রাজ্যের অবকাঠামো এ হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তার দাবি, ভেনেজুয়েলার মাদক চক্রগুলো বিপুল পরিমাণ ফেনটানিল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে, যার কারণে প্রতি বছর হাজারো মার্কিন নাগরিক প্রাণ হারাচ্ছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, শুধু গত বছরই ফেনটানিলের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “নৌপথে যেমন অভিযান চালাচ্ছি, তেমনি স্থল পথেও হামলা শুরু করব। আপনারা জানেন, স্থলপথে অভিযান নৌপথের চেয়ে অনেক সহজ। আমরা জানি তারা কোন রুট ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান করে। আমরা তাদের সম্পর্কে সব জানি, তারা কোথায় থাকে, কীভাবে কাজ করে। খুব শিগগিরই আমরা তাদের লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করব।”
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের অবস্থান আরও কঠোর হয়েছে। ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বড় ধরনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে মাদক পাচারের সন্দেহে ভেনেজুয়েলার বেশ কিছু নৌযানে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা এড়ানোর জন্যও সতর্কতা জারি করেছেন ট্রাম্প।
এ অবস্থায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় সরাসরি সামরিক অভিযান চালাতে পারে। শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প মাদুরো সরকারের পতনও চান।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সোমবার কারাকাসে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
সমর্থকের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, দাসত্বের মাধ্যমে শান্তি পেতে চায় না ভেনেজুয়েলা।
যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বাড়ার পর নিজেদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলাও। এ প্রসঙ্গে মাদুরো বলেন, “গত ২২ সপ্তাহ ধরে আমাদের ওপর আগ্রাসন চালানো হয়েছে। একে মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাসবাদই বলা যায়। এই সময় জুড়ে তারা আমাদের পরীক্ষা করেছে, আর ভেনেজুয়েলার জনগণ তাদের জন্মভূমির প্রতি অটল ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন।”
গত কয়েক মাস ধরে ক্যারিবীয় এলাকায় যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইতোমধ্যে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে বেশ কয়েকটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে।
এমনই একটি নৌকার ওপর মার্কিন সেনাদের দুই দফা হামলার একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রথম হামলায় কয়েকজন নিহত হওয়ার পরও অন্তত দুজন জীবিত ছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে তাদেরও হত্যা করা হয়।
ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর এর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলেও ট্রাম্প এ হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় তিনি বলেন, “মাদক চোরাচালানকারীরা গত বছর দুই লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এ সংখ্যা কমাতে চাই। মাদকের সঙ্গে জড়িত সেই সব অপরাধীদের আমরা নিশ্চিহ্ন করে দেব। আমাদের দেশে আর মাদক প্রবেশ করতে দেব না।”

আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব!
আন্তর্জাতিক জার্নাল

গাজা, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। লাতিন আমেরিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ তথ্য জানান। ভেনেজুয়েলার ভেতর থাকা মাদক সাম্রাজ্যের অবকাঠামো এ হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তার দাবি, ভেনেজুয়েলার মাদক চক্রগুলো বিপুল পরিমাণ ফেনটানিল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে, যার কারণে প্রতি বছর হাজারো মার্কিন নাগরিক প্রাণ হারাচ্ছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, শুধু গত বছরই ফেনটানিলের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “নৌপথে যেমন অভিযান চালাচ্ছি, তেমনি স্থল পথেও হামলা শুরু করব। আপনারা জানেন, স্থলপথে অভিযান নৌপথের চেয়ে অনেক সহজ। আমরা জানি তারা কোন রুট ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান করে। আমরা তাদের সম্পর্কে সব জানি, তারা কোথায় থাকে, কীভাবে কাজ করে। খুব শিগগিরই আমরা তাদের লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করব।”
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের অবস্থান আরও কঠোর হয়েছে। ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বড় ধরনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে মাদক পাচারের সন্দেহে ভেনেজুয়েলার বেশ কিছু নৌযানে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা এড়ানোর জন্যও সতর্কতা জারি করেছেন ট্রাম্প।
এ অবস্থায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় সরাসরি সামরিক অভিযান চালাতে পারে। শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প মাদুরো সরকারের পতনও চান।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সোমবার কারাকাসে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
সমর্থকের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, দাসত্বের মাধ্যমে শান্তি পেতে চায় না ভেনেজুয়েলা।
যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বাড়ার পর নিজেদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলাও। এ প্রসঙ্গে মাদুরো বলেন, “গত ২২ সপ্তাহ ধরে আমাদের ওপর আগ্রাসন চালানো হয়েছে। একে মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাসবাদই বলা যায়। এই সময় জুড়ে তারা আমাদের পরীক্ষা করেছে, আর ভেনেজুয়েলার জনগণ তাদের জন্মভূমির প্রতি অটল ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন।”
গত কয়েক মাস ধরে ক্যারিবীয় এলাকায় যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইতোমধ্যে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে বেশ কয়েকটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে।
এমনই একটি নৌকার ওপর মার্কিন সেনাদের দুই দফা হামলার একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রথম হামলায় কয়েকজন নিহত হওয়ার পরও অন্তত দুজন জীবিত ছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে তাদেরও হত্যা করা হয়।
ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর এর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলেও ট্রাম্প এ হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় তিনি বলেন, “মাদক চোরাচালানকারীরা গত বছর দুই লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এ সংখ্যা কমাতে চাই। মাদকের সঙ্গে জড়িত সেই সব অপরাধীদের আমরা নিশ্চিহ্ন করে দেব। আমাদের দেশে আর মাদক প্রবেশ করতে দেব না।”