নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাকে একটি ‘সতর্কবার্তা’ বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতাচ্যুত শক্তি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে নেমেছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিন দলের নেতারাও দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্য ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতারা। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আলোচনার বিষয়বস্তু জানানো হয়। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সড়কে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবেরও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার ভাষায়, ‘এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এবং প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’ এসব শক্তির লক্ষ্য নির্বাচনটি ভণ্ডুল করা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, 'নির্বাচনের আগে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তা থেকে সরে আসতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, তবে কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে।' নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যেন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে, সে বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ আবার শক্তিশালী হয়েছে।' দলীয় স্বার্থের পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থের দিকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা ঐক্য ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি জানান।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ পাচ্ছে। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছি। জাতিকে বিভক্ত করে এমন বক্তব্য থেকে সরে এসে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে অপরাধ হিসেবে উপস্থাপনের ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।’ তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে ‘নরমালাইজড’ করতে নানা চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের অনৈক্যকে পরাজয় হিসেবে দেখছে।’
নিজেদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা নেওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাইকে সবাই মিলে নিজেদের করতে হবে।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে কোনো নিরাপত্তাই আমাদের কাজে আসবে না।’

জুলাই অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাকে একটি ‘সতর্কবার্তা’ বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতাচ্যুত শক্তি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে নেমেছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিন দলের নেতারাও দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্য ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতারা। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আলোচনার বিষয়বস্তু জানানো হয়। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সড়কে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবেরও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার ভাষায়, ‘এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এবং প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’ এসব শক্তির লক্ষ্য নির্বাচনটি ভণ্ডুল করা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, 'নির্বাচনের আগে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তা থেকে সরে আসতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, তবে কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে।' নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যেন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে, সে বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ আবার শক্তিশালী হয়েছে।' দলীয় স্বার্থের পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থের দিকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা ঐক্য ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি জানান।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ পাচ্ছে। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছি। জাতিকে বিভক্ত করে এমন বক্তব্য থেকে সরে এসে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে অপরাধ হিসেবে উপস্থাপনের ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।’ তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে ‘নরমালাইজড’ করতে নানা চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের অনৈক্যকে পরাজয় হিসেবে দেখছে।’
নিজেদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা নেওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাইকে সবাই মিলে নিজেদের করতে হবে।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে কোনো নিরাপত্তাই আমাদের কাজে আসবে না।’

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাকে একটি ‘সতর্কবার্তা’ বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতাচ্যুত শক্তি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে নেমেছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিন দলের নেতারাও দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্য ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতারা। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আলোচনার বিষয়বস্তু জানানো হয়। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সড়কে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবেরও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার ভাষায়, ‘এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এবং প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’ এসব শক্তির লক্ষ্য নির্বাচনটি ভণ্ডুল করা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, 'নির্বাচনের আগে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তা থেকে সরে আসতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, তবে কাউকে শত্রু ভাবা বা আক্রমণ করার সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে।' নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যেন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে, সে বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ আবার শক্তিশালী হয়েছে।' দলীয় স্বার্থের পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থের দিকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা ঐক্য ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পরস্পরের দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি জানান।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে একে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ পাচ্ছে। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছি। জাতিকে বিভক্ত করে এমন বক্তব্য থেকে সরে এসে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে অপরাধ হিসেবে উপস্থাপনের ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।’ তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে ‘নরমালাইজড’ করতে নানা চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের অনৈক্যকে পরাজয় হিসেবে দেখছে।’
নিজেদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা নেওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাইকে সবাই মিলে নিজেদের করতে হবে।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে কোনো নিরাপত্তাই আমাদের কাজে আসবে না।’