পরিবার পরিকল্পনা শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নয় নারীর ক্ষমতায়নও

পরিবার পরিকল্পনা শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নয় নারীর ক্ষমতায়নও
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবার পরিকল্পনা শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কৌশল নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি- এমনই অভিমত উঠে এসেছে বাংলাদেশ ১০ম ন্যাশনাল ইয়ুথ কনফারেন্স অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং ২০২৫-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লেনারি সেশনে।
শনিবার রাজধানীতে সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত এই সম্মেলনে পরিবার পরিকল্পনা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মেরি স্টোপস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিশোয়ার ইমদাদ বলেন, পরিবার পরিকল্পনা নিশ্চিত করা মানেই নারীর নিজের শরীর, জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করা। এটি নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি হলো বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ শুধু একটি মেয়ের শৈশব কেড়ে নেয় না, বরং তার স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস ও সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করে দেয়।
এই সেশনেই উঠে আসে এক অনন্য কিশোরীর অনুপ্রেরণামূলক গল্প। ক্লাস নাইনে অধ্যয়নরত মারিয়া আক্তার বেবি জানান, তিনি নিজ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ২৭টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছেন। কখনো অভিভাবকদের বুঝিয়ে, কখনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তিনি এই সাহসী কাজগুলো করেছেন।
মারিয়ার এই ব্যতিক্রমী অবদানকে সম্মান জানিয়ে মেরি স্টোপস বাংলাদেশ তার হাতে ১০ হাজার টাকার চেক ও একটি ক্রেস্ট তুলে দেয়। একই সঙ্গে তাকে নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নে মেরি স্টোপস বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কিশোয়ার ইমদাদ বলেন, ‘মারিয়ার মতো তরুণদের নেতৃত্বই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শক্তি। পরিবার পরিকল্পনা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।’
প্লেনারি সেশনটি সঞ্চালনা করেন মেরি স্টোপস বাংলাদেশের হেড অব পার্টনারশিপ অ্যান্ড ফান্ডরাইজিং মনজুন নাহার। আলোচনায় অংশ নিয়ে মেরি স্টোপস প্রিমিয়াম মেটারনিটি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (গাইনী অ্যান্ড অবস) ডা. শাহারীন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবা সহজলভ্য হলে মাতৃমৃত্যু ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিজিএফপি’র সাবেক মহাপরিচালক কাজী একেএম মহিউল আলম বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হলে তরুণদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকে নীতিনির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, উন্নয়নকর্মী এবং দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আয়োজকরা জানান, এই সম্মেলন তরুণদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্য, নারীর অধিকার এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ করে তুলবে।
উল্লেখ্য, সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত ইয়ুথ কনফারেন্স অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগী সংগঠন হিসেবে যুক্ত থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ মেরি স্টোপস বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

পরিবার পরিকল্পনা শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কৌশল নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি- এমনই অভিমত উঠে এসেছে বাংলাদেশ ১০ম ন্যাশনাল ইয়ুথ কনফারেন্স অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং ২০২৫-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লেনারি সেশনে।
শনিবার রাজধানীতে সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত এই সম্মেলনে পরিবার পরিকল্পনা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মেরি স্টোপস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিশোয়ার ইমদাদ বলেন, পরিবার পরিকল্পনা নিশ্চিত করা মানেই নারীর নিজের শরীর, জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করা। এটি নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি হলো বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ শুধু একটি মেয়ের শৈশব কেড়ে নেয় না, বরং তার স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস ও সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করে দেয়।
এই সেশনেই উঠে আসে এক অনন্য কিশোরীর অনুপ্রেরণামূলক গল্প। ক্লাস নাইনে অধ্যয়নরত মারিয়া আক্তার বেবি জানান, তিনি নিজ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ২৭টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছেন। কখনো অভিভাবকদের বুঝিয়ে, কখনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তিনি এই সাহসী কাজগুলো করেছেন।
মারিয়ার এই ব্যতিক্রমী অবদানকে সম্মান জানিয়ে মেরি স্টোপস বাংলাদেশ তার হাতে ১০ হাজার টাকার চেক ও একটি ক্রেস্ট তুলে দেয়। একই সঙ্গে তাকে নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নে মেরি স্টোপস বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কিশোয়ার ইমদাদ বলেন, ‘মারিয়ার মতো তরুণদের নেতৃত্বই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শক্তি। পরিবার পরিকল্পনা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।’
প্লেনারি সেশনটি সঞ্চালনা করেন মেরি স্টোপস বাংলাদেশের হেড অব পার্টনারশিপ অ্যান্ড ফান্ডরাইজিং মনজুন নাহার। আলোচনায় অংশ নিয়ে মেরি স্টোপস প্রিমিয়াম মেটারনিটি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (গাইনী অ্যান্ড অবস) ডা. শাহারীন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবা সহজলভ্য হলে মাতৃমৃত্যু ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিজিএফপি’র সাবেক মহাপরিচালক কাজী একেএম মহিউল আলম বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হলে তরুণদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকে নীতিনির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, উন্নয়নকর্মী এবং দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আয়োজকরা জানান, এই সম্মেলন তরুণদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্য, নারীর অধিকার এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ করে তুলবে।
উল্লেখ্য, সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত ইয়ুথ কনফারেন্স অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগী সংগঠন হিসেবে যুক্ত থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ মেরি স্টোপস বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

পরিবার পরিকল্পনা শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নয় নারীর ক্ষমতায়নও
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবার পরিকল্পনা শুধু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কৌশল নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি- এমনই অভিমত উঠে এসেছে বাংলাদেশ ১০ম ন্যাশনাল ইয়ুথ কনফারেন্স অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং ২০২৫-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লেনারি সেশনে।
শনিবার রাজধানীতে সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত এই সম্মেলনে পরিবার পরিকল্পনা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মেরি স্টোপস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিশোয়ার ইমদাদ বলেন, পরিবার পরিকল্পনা নিশ্চিত করা মানেই নারীর নিজের শরীর, জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করা। এটি নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি হলো বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ শুধু একটি মেয়ের শৈশব কেড়ে নেয় না, বরং তার স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস ও সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করে দেয়।
এই সেশনেই উঠে আসে এক অনন্য কিশোরীর অনুপ্রেরণামূলক গল্প। ক্লাস নাইনে অধ্যয়নরত মারিয়া আক্তার বেবি জানান, তিনি নিজ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ২৭টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছেন। কখনো অভিভাবকদের বুঝিয়ে, কখনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তিনি এই সাহসী কাজগুলো করেছেন।
মারিয়ার এই ব্যতিক্রমী অবদানকে সম্মান জানিয়ে মেরি স্টোপস বাংলাদেশ তার হাতে ১০ হাজার টাকার চেক ও একটি ক্রেস্ট তুলে দেয়। একই সঙ্গে তাকে নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নে মেরি স্টোপস বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কিশোয়ার ইমদাদ বলেন, ‘মারিয়ার মতো তরুণদের নেতৃত্বই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় শক্তি। পরিবার পরিকল্পনা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।’
প্লেনারি সেশনটি সঞ্চালনা করেন মেরি স্টোপস বাংলাদেশের হেড অব পার্টনারশিপ অ্যান্ড ফান্ডরাইজিং মনজুন নাহার। আলোচনায় অংশ নিয়ে মেরি স্টোপস প্রিমিয়াম মেটারনিটি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (গাইনী অ্যান্ড অবস) ডা. শাহারীন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবা সহজলভ্য হলে মাতৃমৃত্যু ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিজিএফপি’র সাবেক মহাপরিচালক কাজী একেএম মহিউল আলম বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হলে তরুণদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকে নীতিনির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, উন্নয়নকর্মী এবং দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আয়োজকরা জানান, এই সম্মেলন তরুণদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্য, নারীর অধিকার এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ করে তুলবে।
উল্লেখ্য, সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত ইয়ুথ কনফারেন্স অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগী সংগঠন হিসেবে যুক্ত থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ মেরি স্টোপস বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।