ব্রেকিং
স্ট্রিট ফুড সম্প্রসারণে নীতি প্রণয়ন ও মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে আদর্শ মানদণ্ড অনুসরণের সুপারিশ

অতিরিক্ত মাছ উৎপাদন, ভোক্তার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও তরুণদের রেডি-টু-কুক–রেডি-টু-ইট পণ্যের প্রতি আগ্রহ—এসব মিলিয়ে দেশে দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে মৎস্যভিত্তিক প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বাজার। তবে মান নিয়ন্ত্রণ, স্যানিটেশন, বিপণন, সার্টিফিকেশন ও সহজ লাইসেন্সিং ব্যবস্থায় সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মৎস্যজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের নীতিগত ঘাটতি' শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগ।

পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. নওশাদ আলম।

তিনি বলেন, 'ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্ট্রিট–ফুড ব্যবসা এবং মূল্য সংযোজিত পণ্যের নিরাপত্তা ও বাজার সম্প্রসারণে স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় সম্ভাবনাময় এই খাতটি কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগোতে পারছে না।'

অনুষ্ঠানে বক্তারা স্ট্রিট–ফুড উদ্যোগ সম্প্রসারণে নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং মৎস্যজাত পণ্যে মানদণ্ড তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মোঃ ফজলুল কাদের বলেন, দেশের উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের মূল্য সংযোজিত পণ্য উৎপাদন করছেন এবং পিকেএসএফ এসব উদ্যোক্তাকে কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। প্রক্রিয়াজাত মৎস্যপণ্য বিপণন, স্ট্রিট–ফুড সম্প্রসারণ ও মৎস্য পণ্যের আদর্শ মানদণ্ড সম্পর্কিত নীতিমালা প্রস্তুত হলে তা উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ আবদুর রউফ বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত রেডি-টু-কুক/ইট পণ্য, স্ট্রিট–ফুডে এসব পণ্য বিপণন এবং মানদণ্ড নির্ধারণে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরও ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এস. এম. রেজাউল করিম, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।