নতুনের প্রতি ভয়? আপনারও থাকতে পারে ‘নিওফোবিয়া’

নতুনের প্রতি ভয়? আপনারও থাকতে পারে ‘নিওফোবিয়া’
সিটিজেন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩০

পরিবর্তন অনেক সময় রোমাঞ্চকর হলেও শুরুতে তা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। নতুন জায়গা, অপরিচিত খাবার বা অজানা পরিস্থিতি অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কেউ সহজেই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, আবার কেউ ভয়, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতায় ভোগে—যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
বর্তমান সময়ে নতুনের প্রতি ভয়কে অনেক সময় দুর্বলতা হিসেবে দেখা হয়, অথচ এটি মানুষের খুবই সাধারণ মানসিক প্রতিক্রিয়া। মনোবিজ্ঞানে এই ভয়কে বলা হয় ‘নিওফোবিয়া’।
নিওফোবিয়া কী
নিওফোবিয়া হলো নতুন অভিজ্ঞতা, পরিস্থিতি, মানুষ, পরিবেশ বা খাবারের প্রতি অযৌক্তিক ভয় বা অস্বস্তি। এই ভয় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং অনেক সময় মানুষ নতুন কিছু করার বা শেখার সুযোগ থেকেও দূরে সরে যায়। তবে নিওফোবিয়া থাকা মানে কোনো মানসিক ত্রুটি নয়—এটি মূলত পরিচিত পরিবেশে নিরাপত্তা খোঁজার প্রবণতা।
নিওফোবিয়ার কারণ
মনোবিজ্ঞানীরা নিওফোবিয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন—
অজানাকে বিপদ হিসেবে দেখা:
মানুষের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি এড়াতে চায়, তাই অচেনা বিষয়কে বিপজ্জনক মনে হয়।
পূর্বের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা:
অতীতে কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা থাকলে নতুন পরিস্থিতিতে সেই ভয় আবারও জেগে ওঠে।
উদ্বেগ বা মানসিক সমস্যা:
উদ্বেগজনিত রোগ বা ওসিডি থাকলে নতুনের প্রতি ভয় আরও তীব্র হয়।
অতিরিক্ত রুটিন নির্ভর জীবন:
কঠোর নিয়মে অভ্যস্ত মানুষদের জন্য পরিবর্তন মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
নিওফোবিয়ার লক্ষণ
- নতুন পরিস্থিতি বা কাজ এড়িয়ে চলা
- রুটিন বদলালে অস্বস্তি বা নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতি
- নতুন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা বা দ্বিধা
- একই খাবার, পোশাক বা অভ্যাসে আটকে থাকা
- নতুন জায়গায় চুপচাপ থাকা বা বিরক্তি প্রকাশ করা
- নতুন কিছু শুরু করার আগে অতিরিক্ত আশ্বাস চাওয়া
- সুযোগ বা স্বপ্ন হাতছাড়া করা
মোকাবিলা করার উপায়
১. ছোট ছোট নতুন কাজ দিয়ে শুরু করুন।
২. নিজের ভয়কে প্রশ্ন করুন—ঠিক কী নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
৩. ধীরে ধীরে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন।
৪. পরিচিত কিছু সঙ্গে রাখুন—যেমন প্রিয় গান, বই বা খাবার।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করুন।
৬. ছোট সফলতাগুলো উদযাপন করুন—এগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৭. প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২. নিজের ভয়কে প্রশ্ন করুন—ঠিক কী নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
৩. ধীরে ধীরে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন।
৪. পরিচিত কিছু সঙ্গে রাখুন—যেমন প্রিয় গান, বই বা খাবার।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করুন।
৬. ছোট সফলতাগুলো উদযাপন করুন—এগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৭. প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিওফোবিয়া দুর্বলতার নয়, বরং এটি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়া। ধীরে ধীরে ছোট পদক্ষেপে নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই হতে পারে নিজের ভেতরের ভয় জয় করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
সূত্র: ম্যারেজ ডট কম

পরিবর্তন অনেক সময় রোমাঞ্চকর হলেও শুরুতে তা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। নতুন জায়গা, অপরিচিত খাবার বা অজানা পরিস্থিতি অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কেউ সহজেই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, আবার কেউ ভয়, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতায় ভোগে—যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
বর্তমান সময়ে নতুনের প্রতি ভয়কে অনেক সময় দুর্বলতা হিসেবে দেখা হয়, অথচ এটি মানুষের খুবই সাধারণ মানসিক প্রতিক্রিয়া। মনোবিজ্ঞানে এই ভয়কে বলা হয় ‘নিওফোবিয়া’।
নিওফোবিয়া কী
নিওফোবিয়া হলো নতুন অভিজ্ঞতা, পরিস্থিতি, মানুষ, পরিবেশ বা খাবারের প্রতি অযৌক্তিক ভয় বা অস্বস্তি। এই ভয় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং অনেক সময় মানুষ নতুন কিছু করার বা শেখার সুযোগ থেকেও দূরে সরে যায়। তবে নিওফোবিয়া থাকা মানে কোনো মানসিক ত্রুটি নয়—এটি মূলত পরিচিত পরিবেশে নিরাপত্তা খোঁজার প্রবণতা।
নিওফোবিয়ার কারণ
মনোবিজ্ঞানীরা নিওফোবিয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন—
অজানাকে বিপদ হিসেবে দেখা:
মানুষের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি এড়াতে চায়, তাই অচেনা বিষয়কে বিপজ্জনক মনে হয়।
পূর্বের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা:
অতীতে কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা থাকলে নতুন পরিস্থিতিতে সেই ভয় আবারও জেগে ওঠে।
উদ্বেগ বা মানসিক সমস্যা:
উদ্বেগজনিত রোগ বা ওসিডি থাকলে নতুনের প্রতি ভয় আরও তীব্র হয়।
অতিরিক্ত রুটিন নির্ভর জীবন:
কঠোর নিয়মে অভ্যস্ত মানুষদের জন্য পরিবর্তন মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
নিওফোবিয়ার লক্ষণ
- নতুন পরিস্থিতি বা কাজ এড়িয়ে চলা
- রুটিন বদলালে অস্বস্তি বা নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতি
- নতুন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা বা দ্বিধা
- একই খাবার, পোশাক বা অভ্যাসে আটকে থাকা
- নতুন জায়গায় চুপচাপ থাকা বা বিরক্তি প্রকাশ করা
- নতুন কিছু শুরু করার আগে অতিরিক্ত আশ্বাস চাওয়া
- সুযোগ বা স্বপ্ন হাতছাড়া করা
মোকাবিলা করার উপায়
১. ছোট ছোট নতুন কাজ দিয়ে শুরু করুন।
২. নিজের ভয়কে প্রশ্ন করুন—ঠিক কী নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
৩. ধীরে ধীরে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন।
৪. পরিচিত কিছু সঙ্গে রাখুন—যেমন প্রিয় গান, বই বা খাবার।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করুন।
৬. ছোট সফলতাগুলো উদযাপন করুন—এগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৭. প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২. নিজের ভয়কে প্রশ্ন করুন—ঠিক কী নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
৩. ধীরে ধীরে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন।
৪. পরিচিত কিছু সঙ্গে রাখুন—যেমন প্রিয় গান, বই বা খাবার।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করুন।
৬. ছোট সফলতাগুলো উদযাপন করুন—এগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৭. প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিওফোবিয়া দুর্বলতার নয়, বরং এটি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়া। ধীরে ধীরে ছোট পদক্ষেপে নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই হতে পারে নিজের ভেতরের ভয় জয় করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
সূত্র: ম্যারেজ ডট কম

নতুনের প্রতি ভয়? আপনারও থাকতে পারে ‘নিওফোবিয়া’
সিটিজেন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩০

পরিবর্তন অনেক সময় রোমাঞ্চকর হলেও শুরুতে তা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। নতুন জায়গা, অপরিচিত খাবার বা অজানা পরিস্থিতি অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কেউ সহজেই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, আবার কেউ ভয়, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতায় ভোগে—যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
বর্তমান সময়ে নতুনের প্রতি ভয়কে অনেক সময় দুর্বলতা হিসেবে দেখা হয়, অথচ এটি মানুষের খুবই সাধারণ মানসিক প্রতিক্রিয়া। মনোবিজ্ঞানে এই ভয়কে বলা হয় ‘নিওফোবিয়া’।
নিওফোবিয়া কী
নিওফোবিয়া হলো নতুন অভিজ্ঞতা, পরিস্থিতি, মানুষ, পরিবেশ বা খাবারের প্রতি অযৌক্তিক ভয় বা অস্বস্তি। এই ভয় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং অনেক সময় মানুষ নতুন কিছু করার বা শেখার সুযোগ থেকেও দূরে সরে যায়। তবে নিওফোবিয়া থাকা মানে কোনো মানসিক ত্রুটি নয়—এটি মূলত পরিচিত পরিবেশে নিরাপত্তা খোঁজার প্রবণতা।
নিওফোবিয়ার কারণ
মনোবিজ্ঞানীরা নিওফোবিয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন—
অজানাকে বিপদ হিসেবে দেখা:
মানুষের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি এড়াতে চায়, তাই অচেনা বিষয়কে বিপজ্জনক মনে হয়।
পূর্বের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা:
অতীতে কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা থাকলে নতুন পরিস্থিতিতে সেই ভয় আবারও জেগে ওঠে।
উদ্বেগ বা মানসিক সমস্যা:
উদ্বেগজনিত রোগ বা ওসিডি থাকলে নতুনের প্রতি ভয় আরও তীব্র হয়।
অতিরিক্ত রুটিন নির্ভর জীবন:
কঠোর নিয়মে অভ্যস্ত মানুষদের জন্য পরিবর্তন মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
নিওফোবিয়ার লক্ষণ
- নতুন পরিস্থিতি বা কাজ এড়িয়ে চলা
- রুটিন বদলালে অস্বস্তি বা নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতি
- নতুন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা বা দ্বিধা
- একই খাবার, পোশাক বা অভ্যাসে আটকে থাকা
- নতুন জায়গায় চুপচাপ থাকা বা বিরক্তি প্রকাশ করা
- নতুন কিছু শুরু করার আগে অতিরিক্ত আশ্বাস চাওয়া
- সুযোগ বা স্বপ্ন হাতছাড়া করা
মোকাবিলা করার উপায়
১. ছোট ছোট নতুন কাজ দিয়ে শুরু করুন।
২. নিজের ভয়কে প্রশ্ন করুন—ঠিক কী নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
৩. ধীরে ধীরে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন।
৪. পরিচিত কিছু সঙ্গে রাখুন—যেমন প্রিয় গান, বই বা খাবার।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করুন।
৬. ছোট সফলতাগুলো উদযাপন করুন—এগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৭. প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২. নিজের ভয়কে প্রশ্ন করুন—ঠিক কী নিয়ে ভয় পাচ্ছেন?
৩. ধীরে ধীরে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন।
৪. পরিচিত কিছু সঙ্গে রাখুন—যেমন প্রিয় গান, বই বা খাবার।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করুন।
৬. ছোট সফলতাগুলো উদযাপন করুন—এগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৭. প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিওফোবিয়া দুর্বলতার নয়, বরং এটি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়া। ধীরে ধীরে ছোট পদক্ষেপে নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই হতে পারে নিজের ভেতরের ভয় জয় করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
সূত্র: ম্যারেজ ডট কম