ব্রেকিং
সকালের নাস্তায় যেসব ভুল করবেন না

সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়া সক্রিয় করে এবং সারাদিন শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে নাস্তার সময় কিছু ভুল অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং পুরো দিনের কর্মক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক—সকালের নাস্তায় বেশিরভাগ মানুষের করা এমন ৪টি সাধারণ ভুল সম্পর্কে।

সকালের নাস্তার পরপরই গোসল করা

সকালের নাস্তার পরপরই গোসল করবেন না। কারণ এই অভ্যাস হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সকালের নাস্তার পর গোসল করলে হজমের আগুন নষ্ট হয়ে যায়। হজমের আগুনের ক্ষয় হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে এবং বদহজমের কারণও হতে পারে।

দেরিতে নাস্তা করা

ঘুম থেকে ওঠার ২ ঘণ্টার মধ্যে নাস্তা খাওয়া উচিত। অর্থাৎ সকাল ৯:০০ টার আগে নাস্তা করা উচিত। রাতে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরের পানি এবং খাবারের প্রয়োজন হয়। তাড়াতাড়ি নাস্তা করলে শরীরের ওপর চাপ কমে। দেরিতে নাস্তা করলে শরীরের ওপর চাপ বেশি পড়ে।

রাতের খাবার এবং নাস্তার মধ্যে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে নাস্তা করা উচিত। যদি আপনি সকালের ওয়ার্কআউট করেন, তাহলে ব্যায়ামের আগে তরল খাবার, জুম, কলা বা আপেলের মতো ফল খাওয়া ভালো, বিশেষ করে ব্যায়ামের ৩০ মিনিট আগে। কলায় সহজে হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ব্যায়ামের জন্য শক্তি দেয় এবং পেশীর খিঁচুনিও কমায়।

নাস্তা বাদ দেওয়া

অনেকেই সকালে ক্ষুধার্ত বোধ করেন না, তাই তারা তাদের নাস্তা পুরোপুরি বাদ দেন। নাস্তা না খাওয়ার অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে মেজাজ এবং শক্তির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালের নাস্তা বাদ দিলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্থূলতার কারণ হতে পারে। এটি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে।

কম খাওয়া

আমরা কাজ করার তাড়াহুড়ায় খুব কম খাই। এটি আমাদের দিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করতে পারে। নাস্তা কিং সাইজ হওয়া উচিত, যার মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট। এছাড়াও আমাদের নাস্তায় প্রচুর কার্বোহাইড্রেট এবং কম প্রোটিন থাকে। তাই সকালের নাস্তায় ভালো খাবার খান। যেমন দুধ, দই, বাদাম, বীজ ইত্যাদি খান।