ব্রেকিং
পাক-আফগান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি
২০২৫ সালের ১৩ নভেম্বর আফগানিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার ক্যাডেট কলেজ ওয়ানায় হামলার পর এক পাকিস্তানি সৈনিক পাহারা দিচ্ছেন। ছবি: এএফপি

দুই প্রতিবেশি মুসলিম দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে আবারও ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দুই দেশের পরস্পরের দিকে গুলি চালায়।

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই দুই পক্ষ নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। গোলাগুলির বিষয়টি উভয় দেশই নিশ্চিত করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, পাকিস্তান প্রথমে তাদের কান্দাহার প্রদেশের বোলদাকে হামলা চালায়। এদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সেনারা প্রথমে চামান সীমান্তে ‘বিনা উস্কানিতে’ গুলি ছুড়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “পাকিস্তান পুরোপুরি সতর্ক আছে। আমরা আমাদের ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতবদ্ধ।”

দু’দিন আগে সৌদি আরবে আবারও শান্তি আলোচনায় বসেছিল ইসলামাবাদ ও কাবুল। তবে সেই বৈঠক থেকে কোনো অগ্রগতি আসেনি। আলোচনা ব্যর্থ হলেও দুই দেশ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই সীমান্তে নতুন করে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

গত অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সাময়িকভাবে এ সংঘাত থামানো সম্ভব হয়েছিল। কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সাম্প্রতিক সৌদি আরবের বৈঠকের মাত্র দুই দিন পরই আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে দুই দেশ।

এদিকে, পাকিস্তানে গত কয়েক দিনে আত্মঘাতী ও সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগান নাগরিকরা নিজ দেশের মদদে এসব হামলা চালিয়েছে। তবে কাবুল এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করা যায় না।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে মার্কিন ও পশ্চিমা সেনাদের হটিয়ে দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর গত অক্টোবরে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স