অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানীর ২০ শপিংমল ও বহুতল ভবন
গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীর ১০টি শপিংমল ও ১০টি বহুতল ভবনের সক্ষমতা যাচাই করা হয়। সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি খুঁজে পায় ফায়ার সার্ভিস।

অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানীর ২০ শপিংমল ও বহুতল ভবন
আয়নাল হোসেন

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর অসংখ্য শপিংমল ও বহুতল ভবন। এসব ভবন নির্মাণের সময়ে মানা হয়নি কোনো ধরনের বিল্ডিং কোডও। কখনো আগুন লাগলে সেখানে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই রাজধানীর ২০টি শপিংমল ও ভবন পড়বে মহাবিপদে। এসব স্থাপনায় মারাত্মক অগ্নিঝুঁকি রয়েছে। গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় আঁতকে ওঠার মতো বিষয়টি উঠে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রকাশ্যে ভবনগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ে বিষয়টি উঠে আসে। সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীর ১০টি শপিংমল ও ১০টি বহুতল ভবনের সক্ষমতা যাচাই করা হয়। সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়।

রাজধানী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব শপিংমল হচ্ছে, নিউ মার্কেটের ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশন সুপার মার্কেট বাণিজ্যিক ভবন, চকবাজারের মদিনা আশিক টাওয়ার, নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, বসুন্ধরা এলাকার রূপায়ন শপিং স্কয়ার, মধ্যবাড্ডার হাকিমল কমপ্লেক্স, গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টার, মালিবাগের সেন্টার পয়েন্ট শপিংমল, মালিবাগের মৌচাক মার্কেট, মিরপুর রোডের গাউছিয়া মার্কেট ও চাঁদনীচক শপিং কমপ্লেক্স। বাণিজ্যিক কাম আবাসিক বহুতল ভবনগুলো হচ্ছে, শান্তিনগরের টুইন টাওয়ার কনকর্ড, কাকরাইলের কর্ণফুলি গার্ডেন সিটি, বংশালের রোজলীন ভিসতা, ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার, শাহবাগের মোতালেব প্লাজা, শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালি, পল্টনের এমএল ভিলেজ, আদাবরের জাপান গার্ডেন সিটি ও আদাবরের শিবুরা ভবন–১৭ এবং উত্তরার কনকর্ড ডি–রিয়েল বহুতল ভবন।

জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আবদুল ওয়াদুদ সিটিজেন জার্নালকে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও বহুতল ভবনে অগ্নিমহড়া দেওয়ার নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনা পেয়ে ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও বহুতল ভবনে অগ্নিত্রুটি খুঁজে পায়। এসব ত্রুটি সংশোধনে স্থাপনার মালিকদের এক মাসের সময় দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে তারা ত্রুটি মেরামতে ব্যবস্থা না নিলে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানোর বিষেয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের শপিংমল ও বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতা যাচাইকালে দেখতে পায় অধিকাংশ স্থাপনায় ফায়ার সেফটি প্ল্যান ও কার্যকারিতার সনদ নেই। ভবন ব্যবহারের অনুমতি এবং ফায়ার সার্ভিস থেকে বহুতল ভবনের ছাড়পত্র নেই। সব সিঁড়ি নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত নেই এবং ছাদে আবাসিক টিনশেড রয়েছে। ফায়ার সেফটি অফিসারসহ প্রশিক্ষিত জনবল নেই, অকুপেন্সি শ্রেনী ও লোড অনুযায়ী ফায়ার ড্রিল হয় না, বেইজমেন্ট ফ্লোর মার্কেট হিসেবে ব্যবহার হয়। স্থায়ী কোনো অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই। ভবন অনুযায়ী ভূগর্ভস্থ জলাধারের আয়তন ও ধারণক্ষমতা সুনির্দিষ্ট অনুযায়ী নেই। ফায়ার সার্ভিসের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ডায়ামিটারের রাইজার ও রাইজার পয়েন্টে নন রিটার্নিং প্রেসারার রিডিউসিং ভাল্বসহ হোজপাইপ নেই।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১০টি শপিংমল ও বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতার ঘাটতি নিরসনে তাদেরকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, শপিংমল ও বহুতল ভবনের আগুনের সক্ষমতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন কোনো খবর বা ভিডিওচিত্র কোনো গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করার সময় প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর অসংখ্য শপিংমল ও বহুতল ভবন। এসব ভবন নির্মাণের সময়ে মানা হয়নি কোনো ধরনের বিল্ডিং কোডও। কখনো আগুন লাগলে সেখানে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই রাজধানীর ২০টি শপিংমল ও ভবন পড়বে মহাবিপদে। এসব স্থাপনায় মারাত্মক অগ্নিঝুঁকি রয়েছে। গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় আঁতকে ওঠার মতো বিষয়টি উঠে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রকাশ্যে ভবনগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ে বিষয়টি উঠে আসে। সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীর ১০টি শপিংমল ও ১০টি বহুতল ভবনের সক্ষমতা যাচাই করা হয়। সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়।

রাজধানী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব শপিংমল হচ্ছে, নিউ মার্কেটের ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশন সুপার মার্কেট বাণিজ্যিক ভবন, চকবাজারের মদিনা আশিক টাওয়ার, নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, বসুন্ধরা এলাকার রূপায়ন শপিং স্কয়ার, মধ্যবাড্ডার হাকিমল কমপ্লেক্স, গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টার, মালিবাগের সেন্টার পয়েন্ট শপিংমল, মালিবাগের মৌচাক মার্কেট, মিরপুর রোডের গাউছিয়া মার্কেট ও চাঁদনীচক শপিং কমপ্লেক্স। বাণিজ্যিক কাম আবাসিক বহুতল ভবনগুলো হচ্ছে, শান্তিনগরের টুইন টাওয়ার কনকর্ড, কাকরাইলের কর্ণফুলি গার্ডেন সিটি, বংশালের রোজলীন ভিসতা, ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার, শাহবাগের মোতালেব প্লাজা, শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালি, পল্টনের এমএল ভিলেজ, আদাবরের জাপান গার্ডেন সিটি ও আদাবরের শিবুরা ভবন–১৭ এবং উত্তরার কনকর্ড ডি–রিয়েল বহুতল ভবন।

জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আবদুল ওয়াদুদ সিটিজেন জার্নালকে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও বহুতল ভবনে অগ্নিমহড়া দেওয়ার নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনা পেয়ে ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও বহুতল ভবনে অগ্নিত্রুটি খুঁজে পায়। এসব ত্রুটি সংশোধনে স্থাপনার মালিকদের এক মাসের সময় দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে তারা ত্রুটি মেরামতে ব্যবস্থা না নিলে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানোর বিষেয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের শপিংমল ও বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতা যাচাইকালে দেখতে পায় অধিকাংশ স্থাপনায় ফায়ার সেফটি প্ল্যান ও কার্যকারিতার সনদ নেই। ভবন ব্যবহারের অনুমতি এবং ফায়ার সার্ভিস থেকে বহুতল ভবনের ছাড়পত্র নেই। সব সিঁড়ি নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত নেই এবং ছাদে আবাসিক টিনশেড রয়েছে। ফায়ার সেফটি অফিসারসহ প্রশিক্ষিত জনবল নেই, অকুপেন্সি শ্রেনী ও লোড অনুযায়ী ফায়ার ড্রিল হয় না, বেইজমেন্ট ফ্লোর মার্কেট হিসেবে ব্যবহার হয়। স্থায়ী কোনো অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই। ভবন অনুযায়ী ভূগর্ভস্থ জলাধারের আয়তন ও ধারণক্ষমতা সুনির্দিষ্ট অনুযায়ী নেই। ফায়ার সার্ভিসের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ডায়ামিটারের রাইজার ও রাইজার পয়েন্টে নন রিটার্নিং প্রেসারার রিডিউসিং ভাল্বসহ হোজপাইপ নেই।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১০টি শপিংমল ও বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতার ঘাটতি নিরসনে তাদেরকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, শপিংমল ও বহুতল ভবনের আগুনের সক্ষমতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন কোনো খবর বা ভিডিওচিত্র কোনো গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করার সময় প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানীর ২০ শপিংমল ও বহুতল ভবন
আয়নাল হোসেন

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর অসংখ্য শপিংমল ও বহুতল ভবন। এসব ভবন নির্মাণের সময়ে মানা হয়নি কোনো ধরনের বিল্ডিং কোডও। কখনো আগুন লাগলে সেখানে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই রাজধানীর ২০টি শপিংমল ও ভবন পড়বে মহাবিপদে। এসব স্থাপনায় মারাত্মক অগ্নিঝুঁকি রয়েছে। গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় আঁতকে ওঠার মতো বিষয়টি উঠে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রকাশ্যে ভবনগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ে বিষয়টি উঠে আসে। সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীর ১০টি শপিংমল ও ১০টি বহুতল ভবনের সক্ষমতা যাচাই করা হয়। সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়।

রাজধানী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব শপিংমল হচ্ছে, নিউ মার্কেটের ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশন সুপার মার্কেট বাণিজ্যিক ভবন, চকবাজারের মদিনা আশিক টাওয়ার, নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, বসুন্ধরা এলাকার রূপায়ন শপিং স্কয়ার, মধ্যবাড্ডার হাকিমল কমপ্লেক্স, গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টার, মালিবাগের সেন্টার পয়েন্ট শপিংমল, মালিবাগের মৌচাক মার্কেট, মিরপুর রোডের গাউছিয়া মার্কেট ও চাঁদনীচক শপিং কমপ্লেক্স। বাণিজ্যিক কাম আবাসিক বহুতল ভবনগুলো হচ্ছে, শান্তিনগরের টুইন টাওয়ার কনকর্ড, কাকরাইলের কর্ণফুলি গার্ডেন সিটি, বংশালের রোজলীন ভিসতা, ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার, শাহবাগের মোতালেব প্লাজা, শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালি, পল্টনের এমএল ভিলেজ, আদাবরের জাপান গার্ডেন সিটি ও আদাবরের শিবুরা ভবন–১৭ এবং উত্তরার কনকর্ড ডি–রিয়েল বহুতল ভবন।

জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আবদুল ওয়াদুদ সিটিজেন জার্নালকে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও বহুতল ভবনে অগ্নিমহড়া দেওয়ার নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনা পেয়ে ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও বহুতল ভবনে অগ্নিত্রুটি খুঁজে পায়। এসব ত্রুটি সংশোধনে স্থাপনার মালিকদের এক মাসের সময় দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে তারা ত্রুটি মেরামতে ব্যবস্থা না নিলে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানোর বিষেয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের শপিংমল ও বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতা যাচাইকালে দেখতে পায় অধিকাংশ স্থাপনায় ফায়ার সেফটি প্ল্যান ও কার্যকারিতার সনদ নেই। ভবন ব্যবহারের অনুমতি এবং ফায়ার সার্ভিস থেকে বহুতল ভবনের ছাড়পত্র নেই। সব সিঁড়ি নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত নেই এবং ছাদে আবাসিক টিনশেড রয়েছে। ফায়ার সেফটি অফিসারসহ প্রশিক্ষিত জনবল নেই, অকুপেন্সি শ্রেনী ও লোড অনুযায়ী ফায়ার ড্রিল হয় না, বেইজমেন্ট ফ্লোর মার্কেট হিসেবে ব্যবহার হয়। স্থায়ী কোনো অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই। ভবন অনুযায়ী ভূগর্ভস্থ জলাধারের আয়তন ও ধারণক্ষমতা সুনির্দিষ্ট অনুযায়ী নেই। ফায়ার সার্ভিসের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ডায়ামিটারের রাইজার ও রাইজার পয়েন্টে নন রিটার্নিং প্রেসারার রিডিউসিং ভাল্বসহ হোজপাইপ নেই।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১০টি শপিংমল ও বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতার ঘাটতি নিরসনে তাদেরকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, শপিংমল ও বহুতল ভবনের আগুনের সক্ষমতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন কোনো খবর বা ভিডিওচিত্র কোনো গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করার সময় প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।