নারীর উন্নয়ন থামিয়ে দিচ্ছে তামাক, আইন সংস্কারের দাবি

নারীর উন্নয়ন থামিয়ে দিচ্ছে তামাক, আইন সংস্কারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

নারীর উন্নয়ন থামিয়ে দিচ্ছে তামাক। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে নারী মৈত্রী ও বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরাম।
বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে নারী নেত্রী ও সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ছিল নারীকে বৈষম্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তামাকজনিত রোগ, অর্থনৈতিক ক্ষতি ও সামাজিক বৈষম্য নারীর অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রোকেয়ার আদর্শের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
সভায় উপস্থাপিত ধারণাপত্রে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টোব্যাকো এটলাস ২০২৫ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২ কোটি ৯২ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহার করে। প্রতি বছর তামাকের কারণে মৃত্যুবরণ করে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিন এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৭ জনে। এই মৃত্যু ও রোগব্যাধির সরাসরি ও পরোক্ষ ভুক্তভোগীদের বড় অংশই নারী ও শিশু। বিশেষত দরিদ্র পরিবারে স্বাস্থ্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে নারীদের জীবনযাত্রা আরো ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্র, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানে নারীরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণা অনুযায়ী, কর্মস্থলে প্রায় ৪২.৭ শতাংশ নারীকর্মী, রেস্তোরাঁয় ৪৯.৭ শতাংশ এবং গণপরিবহনে ৪৪ শতাংশ নারী পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে স্মোকিং জোন বাতিল হলে নারীদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
সভায় আরো জানানো হয়, তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, প্রচারণা ও রঙিন প্যাকেট তরুণী ও কিশোরীদের তামাক ব্যবহারে প্রলুব্ধ করে। সংশোধনী পাস হলে এ ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে জনস্বাস্থ্য নীতিতে করপোরেট প্রভাবের সুযোগ কমে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরো শক্তিশালী হবে।
এ ছাড়া সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণীদের ঝুঁকি এবং পরিবারে অপ্রয়োজনীয় তামাক ব্যয়ও কমবে। একই সঙ্গে ই-সিগারেট, এইচটিপি ও অন্যান্য নিকোটিন পণ্য নিষিদ্ধ হলে নতুন ধরনের আসক্তি থেকে তরুণী ও যুব নারীরা সুরক্ষিত থাকবে। তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে ৯০ শতাংশ সচিত্র সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক করলে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের তামাক ত্যাগে উৎসাহিত করতেও নারীরা আরো সক্ষম হবেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া নারী অধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা বলেন, বেগম রোকেয়ার ভাষায় নারীশিক্ষা ও নারীস্বাস্থ্য জাতির উন্নতির মূলভিত্তি। তাই নারীর স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, পরোক্ষ ধূমপান থেকে পরিবারকে রক্ষা, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাস্থ্য ব্যয় কমানোর স্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী এখন সময়ের দাবি, জাতির দাবি।
সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে শুধু তামাকের ব্যবহার কমবে না, প্রতি বছর তামাকজনিত ১ লাখ ৩০ হাজার মৃত্যুও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে বলে জানান তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি।

নারীর উন্নয়ন থামিয়ে দিচ্ছে তামাক। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে নারী মৈত্রী ও বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরাম।
বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে নারী নেত্রী ও সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ছিল নারীকে বৈষম্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তামাকজনিত রোগ, অর্থনৈতিক ক্ষতি ও সামাজিক বৈষম্য নারীর অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রোকেয়ার আদর্শের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
সভায় উপস্থাপিত ধারণাপত্রে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টোব্যাকো এটলাস ২০২৫ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২ কোটি ৯২ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহার করে। প্রতি বছর তামাকের কারণে মৃত্যুবরণ করে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিন এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৭ জনে। এই মৃত্যু ও রোগব্যাধির সরাসরি ও পরোক্ষ ভুক্তভোগীদের বড় অংশই নারী ও শিশু। বিশেষত দরিদ্র পরিবারে স্বাস্থ্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে নারীদের জীবনযাত্রা আরো ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্র, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানে নারীরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণা অনুযায়ী, কর্মস্থলে প্রায় ৪২.৭ শতাংশ নারীকর্মী, রেস্তোরাঁয় ৪৯.৭ শতাংশ এবং গণপরিবহনে ৪৪ শতাংশ নারী পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে স্মোকিং জোন বাতিল হলে নারীদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
সভায় আরো জানানো হয়, তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, প্রচারণা ও রঙিন প্যাকেট তরুণী ও কিশোরীদের তামাক ব্যবহারে প্রলুব্ধ করে। সংশোধনী পাস হলে এ ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে জনস্বাস্থ্য নীতিতে করপোরেট প্রভাবের সুযোগ কমে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরো শক্তিশালী হবে।
এ ছাড়া সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণীদের ঝুঁকি এবং পরিবারে অপ্রয়োজনীয় তামাক ব্যয়ও কমবে। একই সঙ্গে ই-সিগারেট, এইচটিপি ও অন্যান্য নিকোটিন পণ্য নিষিদ্ধ হলে নতুন ধরনের আসক্তি থেকে তরুণী ও যুব নারীরা সুরক্ষিত থাকবে। তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে ৯০ শতাংশ সচিত্র সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক করলে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের তামাক ত্যাগে উৎসাহিত করতেও নারীরা আরো সক্ষম হবেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া নারী অধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা বলেন, বেগম রোকেয়ার ভাষায় নারীশিক্ষা ও নারীস্বাস্থ্য জাতির উন্নতির মূলভিত্তি। তাই নারীর স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, পরোক্ষ ধূমপান থেকে পরিবারকে রক্ষা, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাস্থ্য ব্যয় কমানোর স্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী এখন সময়ের দাবি, জাতির দাবি।
সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে শুধু তামাকের ব্যবহার কমবে না, প্রতি বছর তামাকজনিত ১ লাখ ৩০ হাজার মৃত্যুও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে বলে জানান তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি।

নারীর উন্নয়ন থামিয়ে দিচ্ছে তামাক, আইন সংস্কারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

নারীর উন্নয়ন থামিয়ে দিচ্ছে তামাক। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে নারী মৈত্রী ও বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরাম।
বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে নারী নেত্রী ও সাংবাদিকরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ছিল নারীকে বৈষম্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তামাকজনিত রোগ, অর্থনৈতিক ক্ষতি ও সামাজিক বৈষম্য নারীর অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রোকেয়ার আদর্শের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
সভায় উপস্থাপিত ধারণাপত্রে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টোব্যাকো এটলাস ২০২৫ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২ কোটি ৯২ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহার করে। প্রতি বছর তামাকের কারণে মৃত্যুবরণ করে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিন এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৭ জনে। এই মৃত্যু ও রোগব্যাধির সরাসরি ও পরোক্ষ ভুক্তভোগীদের বড় অংশই নারী ও শিশু। বিশেষত দরিদ্র পরিবারে স্বাস্থ্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে নারীদের জীবনযাত্রা আরো ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্র, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানে নারীরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণা অনুযায়ী, কর্মস্থলে প্রায় ৪২.৭ শতাংশ নারীকর্মী, রেস্তোরাঁয় ৪৯.৭ শতাংশ এবং গণপরিবহনে ৪৪ শতাংশ নারী পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে স্মোকিং জোন বাতিল হলে নারীদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
সভায় আরো জানানো হয়, তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, প্রচারণা ও রঙিন প্যাকেট তরুণী ও কিশোরীদের তামাক ব্যবহারে প্রলুব্ধ করে। সংশোধনী পাস হলে এ ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে জনস্বাস্থ্য নীতিতে করপোরেট প্রভাবের সুযোগ কমে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরো শক্তিশালী হবে।
এ ছাড়া সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণীদের ঝুঁকি এবং পরিবারে অপ্রয়োজনীয় তামাক ব্যয়ও কমবে। একই সঙ্গে ই-সিগারেট, এইচটিপি ও অন্যান্য নিকোটিন পণ্য নিষিদ্ধ হলে নতুন ধরনের আসক্তি থেকে তরুণী ও যুব নারীরা সুরক্ষিত থাকবে। তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে ৯০ শতাংশ সচিত্র সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক করলে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের তামাক ত্যাগে উৎসাহিত করতেও নারীরা আরো সক্ষম হবেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া নারী অধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা বলেন, বেগম রোকেয়ার ভাষায় নারীশিক্ষা ও নারীস্বাস্থ্য জাতির উন্নতির মূলভিত্তি। তাই নারীর স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, পরোক্ষ ধূমপান থেকে পরিবারকে রক্ষা, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাস্থ্য ব্যয় কমানোর স্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী এখন সময়ের দাবি, জাতির দাবি।
সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে শুধু তামাকের ব্যবহার কমবে না, প্রতি বছর তামাকজনিত ১ লাখ ৩০ হাজার মৃত্যুও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে বলে জানান তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি।