ব্রেকিং
সাতসকালে ভূমিকম্পে কাঁপলো ঢাকা, আতঙ্কিত নগরবাসী
ফাইল ছবি

একের পর এক ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দেশবাসী। গত ২১ নভেম্বর ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারও ভূমিকম্পে কাঁপলো রাজধানী ঢাকা। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার। উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ৩৩ কিমি পূর্বে, নরসিংদী থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, গোপালগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান নেটিজেনরা।

এদিকে ধারাবাহিক ভূমিকম্পে নগরবাসীর মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। রাজধানীর শনির আখড়ার এক বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকায় যে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল, তাতে পুরো দেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তার মধ্যেই আজ আবার ভূমিকম্প অনুভূত হলো। ফলে আমরা নতুন করে ভয় ও উৎকণ্ঠায় পড়েছি।

আরেক বাসিন্দা জানান, দেশে একের পর এক ভূমিকম্প উদ্বেগ বাড়াচ্ছে; বিষয়টি মোটেও শুভ লক্ষণ নয়। তিনি বলেন, বড় কোনো দুর্যোগ নেমে আসতে পারে—এই শঙ্কায় আমরা অস্থির হয়ে আছি।

এর আগে, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ৪.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তার আগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে অনেকেই এ ভূমিকম্প অনুভব করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মিনজিন এলাকায় ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

আর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে। এটিও হালকা শ্রেণির ভূমিকম্প ছিল।

প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর সকালে দেশের অভ্যন্তরে তীব্র ভূমিকম্পের পর থেকেই আতঙ্কে দিন পার করছেন রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের বাসিন্দারা। নরসিংদীতে হওয়া ৫.৭ মাত্রার সেদিনের ভূমিকম্প অনুভব করেন দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। ভূমিকম্পে মারা যান অন্তত ১০ জন। আহত হন ছয় শতাধিক মানুষ। এছাড়া, ভূমিকম্পের প্রভাবে রাজধানীর অনেক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে; বেশ কিছু ভবন হেলে পড়েছে। এরপর ২২ নভেম্বর সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়।