ব্রেকিং
পুরাতন কূপে গ্যাসের সন্ধান

সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ডের ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এই কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্যাসগ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের অধীনে থাকা কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ডে মোট ৯টি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপে প্রথম গ্যাস আবিষ্কৃত হয় ১৯৬১ সালে। একবার বিরতির পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছিল।

২০২৩ সাল থেকে দেশের পুরাতন কূপগুলো নতুন করে ওয়ার্কওভার শুরু হয়। এরমধ্যে সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন ১৪টি কূপের ওয়ার্কওভার চলছে। কৈলাশটিলা-১ সহ ইতোমধ্যে ৭টি কূপের ওয়ার্কওভার সম্পন্ন হয়েছে। সাতটিতেই গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে।

কৈলাশটিলার-১ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শেষে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে এই প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। এখনও কিছু কাজ বাকী আছে। এসব কাজ শেষে আজকালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে ঘোষণা দিবেন। 

সিলেট গ্যাস ফিল্ডে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস যুক্ত হতে পারে। সূত্র জানায়, প্রায় ৪ মাস আগে কৈলাশটিলায়-১ নম্বর কূপ ওয়ার্কওভার শুরু করে বাপেক্স। ওয়ার্কওভারকালে প্রায় ২২ হাজার ফুট গভীরে গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরআগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ৩ নম্বর পুরনো কূপ থেকে নতুন করে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। এরফলে সিলেটের কূপগুলো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এর আগে গত বছরের ২২ অক্টোবর সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭নং কূপে খননকাজ শেষে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। হরিপুরে ৭ নং কূপ থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে। কূপের ১ হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় এ গ্যাস পাওয়া গেছে।

এর আগে ওই বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮নং কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার যায়। কূপের ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া যায়।

জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন কূপগুলোতে চলমান আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হবে। খনন চলমান থাকা অন্য সকল কূপে আশানুরূপ গ্যাস পাওয়া গেলে শুধুমাত্র এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।