ঋণ খেলাপি হয়ে উৎপাদন বন্ধ, টিকে থাকা নিয়েই শঙ্কায় মেঘনা সিমেন্ট

ঋণ খেলাপি হয়ে উৎপাদন বন্ধ, টিকে থাকা নিয়েই শঙ্কায় মেঘনা সিমেন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪১

ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্ট পিএলসি। ঋণ খেলাপি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না। ফলে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হয়ে উৎপাদন স্থবির হয়ে গেছে। টানা লোকসানের মধ্যে কোম্পানির অবস্থা আরও নাজুক হয়ে ওঠায় ভবিষ্যতে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে কি না—এই প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা করে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কোম্পানির নিরীক্ষক। ডিএসইর মাধ্যমে প্রকাশিত এই মতামত অনুযায়ী, আলোচ্য বছরে কোম্পানির পণ্য বিক্রি কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আগের অর্থবছরে ১৮৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করা কোম্পানি গত অর্থবছরে বিক্রি করেছে মাত্র ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার পণ্য।
নিরীক্ষকের ভাষ্য, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে খেলাপি হওয়ার কারণে কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে সিমেন্ট উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কারখানায় অন্য প্রতিষ্ঠানের সিমেন্ট উৎপাদনের মাধ্যমে সীমিত আকারে ব্যবসা সচল রাখার চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় কোম্পানিটির অস্তিত্ব রক্ষার সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৫৮ পয়সা, মোট নিট লোকসান ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৭ টাকা ১৬ পয়সা, মোট লোকসান ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে নিট লোকসান বেড়েছে ৯২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৪১১ শতাংশ (৫ দশমিক ১১ গুণ)।
ধারাবাহিক লোকসানের ফলে আলোচিত দুই অর্থবছরেই বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেও (জুলাই–সেপ্টেম্বর) লোকসান বেড়েছে আরও। শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা, মোট ৬৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে গত ২৭ মাসে (২০২৩-২৪, ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬-এর প্রথম প্রান্তিক) কোম্পানির মোট নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ২০৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এতে কোম্পানির রিজার্ভও দ্রুত ক্ষয় হচ্ছে। বর্তমানে রিজার্ভে আছে মাত্র ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লোকসান অব্যাহত থাকলে এটি শিগগিরই ঋণাত্মক হয়ে পড়তে পারে।
১৯৯৭ সালে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্টের পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৫৮ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার। ফলে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতির ভার সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে পুঁজিবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীদের ওপর।

ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্ট পিএলসি। ঋণ খেলাপি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না। ফলে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হয়ে উৎপাদন স্থবির হয়ে গেছে। টানা লোকসানের মধ্যে কোম্পানির অবস্থা আরও নাজুক হয়ে ওঠায় ভবিষ্যতে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে কি না—এই প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা করে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কোম্পানির নিরীক্ষক। ডিএসইর মাধ্যমে প্রকাশিত এই মতামত অনুযায়ী, আলোচ্য বছরে কোম্পানির পণ্য বিক্রি কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আগের অর্থবছরে ১৮৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করা কোম্পানি গত অর্থবছরে বিক্রি করেছে মাত্র ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার পণ্য।
নিরীক্ষকের ভাষ্য, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে খেলাপি হওয়ার কারণে কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে সিমেন্ট উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কারখানায় অন্য প্রতিষ্ঠানের সিমেন্ট উৎপাদনের মাধ্যমে সীমিত আকারে ব্যবসা সচল রাখার চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় কোম্পানিটির অস্তিত্ব রক্ষার সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৫৮ পয়সা, মোট নিট লোকসান ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৭ টাকা ১৬ পয়সা, মোট লোকসান ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে নিট লোকসান বেড়েছে ৯২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৪১১ শতাংশ (৫ দশমিক ১১ গুণ)।
ধারাবাহিক লোকসানের ফলে আলোচিত দুই অর্থবছরেই বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেও (জুলাই–সেপ্টেম্বর) লোকসান বেড়েছে আরও। শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা, মোট ৬৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে গত ২৭ মাসে (২০২৩-২৪, ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬-এর প্রথম প্রান্তিক) কোম্পানির মোট নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ২০৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এতে কোম্পানির রিজার্ভও দ্রুত ক্ষয় হচ্ছে। বর্তমানে রিজার্ভে আছে মাত্র ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লোকসান অব্যাহত থাকলে এটি শিগগিরই ঋণাত্মক হয়ে পড়তে পারে।
১৯৯৭ সালে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্টের পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৫৮ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার। ফলে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতির ভার সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে পুঁজিবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীদের ওপর।

ঋণ খেলাপি হয়ে উৎপাদন বন্ধ, টিকে থাকা নিয়েই শঙ্কায় মেঘনা সিমেন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪১

ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্ট পিএলসি। ঋণ খেলাপি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না। ফলে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হয়ে উৎপাদন স্থবির হয়ে গেছে। টানা লোকসানের মধ্যে কোম্পানির অবস্থা আরও নাজুক হয়ে ওঠায় ভবিষ্যতে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে কি না—এই প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা করে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কোম্পানির নিরীক্ষক। ডিএসইর মাধ্যমে প্রকাশিত এই মতামত অনুযায়ী, আলোচ্য বছরে কোম্পানির পণ্য বিক্রি কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আগের অর্থবছরে ১৮৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করা কোম্পানি গত অর্থবছরে বিক্রি করেছে মাত্র ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার পণ্য।
নিরীক্ষকের ভাষ্য, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে খেলাপি হওয়ার কারণে কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে সিমেন্ট উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কারখানায় অন্য প্রতিষ্ঠানের সিমেন্ট উৎপাদনের মাধ্যমে সীমিত আকারে ব্যবসা সচল রাখার চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় কোম্পানিটির অস্তিত্ব রক্ষার সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নিরীক্ষক।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৫৮ পয়সা, মোট নিট লোকসান ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৭ টাকা ১৬ পয়সা, মোট লোকসান ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে নিট লোকসান বেড়েছে ৯২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৪১১ শতাংশ (৫ দশমিক ১১ গুণ)।
ধারাবাহিক লোকসানের ফলে আলোচিত দুই অর্থবছরেই বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেও (জুলাই–সেপ্টেম্বর) লোকসান বেড়েছে আরও। শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা, মোট ৬৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে গত ২৭ মাসে (২০২৩-২৪, ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬-এর প্রথম প্রান্তিক) কোম্পানির মোট নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ২০৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এতে কোম্পানির রিজার্ভও দ্রুত ক্ষয় হচ্ছে। বর্তমানে রিজার্ভে আছে মাত্র ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লোকসান অব্যাহত থাকলে এটি শিগগিরই ঋণাত্মক হয়ে পড়তে পারে।
১৯৯৭ সালে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্টের পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৫৮ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার। ফলে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতির ভার সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে পুঁজিবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীদের ওপর।