ব্রেকিং
সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে
সাংবাদিক আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই শামীম হোসেন রিমান্ডের তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মুনিরুজ্জামান তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর আনিস আলমগীরকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। জানা গেছে, তাকে ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম (ব্যায়ামাগার) থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিয়ে আসা হয়। ৮টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান।

আজ সোমবার বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ‘জুলাই রেভোল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

রিমান্ড আবেদনে যা বলা আছে

আনিস আলমগীরকে রিমান্ডে চেয়ে করা আবেদনে পুলিশ বলেছে, আনিস আলমগীর এক মাস আগে একটি টেলিভিশনে টকশোতে মন্তব্য করেন, ‘আওয়ামী লীগের অপ্রকাশিত নেতারা সরকারকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে’।

মামলার ৩ নম্বর আসামি মেহের আফরোজ শাওন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গত ২৬ নভেম্বর শেখ হাসিনার লকার থেকে সোনার গয়না উদ্ধারের ঘটনাকে কটাক্ষ করে সরকারবিরোধী পোস্ট দেন। তিনি এই ঘটনাকে ‘একে বারে তেলেসমাতি কারবার’ বলে মন্তব্য করেন।

একই ঘটনায় ৪ নম্বর আসামি ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে ‘এটাই সায়েন্স’ বলে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন।

এ ছাড়াও উল্লিখিত আসামিরা অন্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিভিন্ন প্রকার উসকানিমূলক পোস্ট ও বক্তব্য দিয়ে দেশের জননিরাপত্তা বিপন্ন করা, অন্য ব্যক্তিকে হত্যার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা এবং অন্য ব্যক্তিকে হত্যা-গুরুতর জখম করার ষড়যন্ত্র ও সহায়তা করার জন্য প্ররোচিত করেন।

রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়েছে, আনিস আলমগীরকে ডিবির লালবাগ বিভাগের সদস্যরা ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। সময় স্বল্পতার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। তার সহযোগী অন্য পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাকে নিয়ে অভিযান চালালে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। এসব ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার জন্য আনিস আলমগীরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।