ব্রেকিং
যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল মার্কেট বন্ধ, আসতে পারে বড় ঘোষণা
যমুনা ফিউচার পার্ক। ছবি: উইকিপিডিয়া

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল মার্কেট। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের আগে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে আলোচনা ও নীতিমালা সংস্কারসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে আসছিল স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)। তবে তাদের দাবি নিয়ে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আজ মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) থেকে যমুনা ফিউচার পার্কসহ দেশের কয়েকটি মোবাইল মার্কেট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন এমবিসিবি-এর যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীরা।

একই সঙ্গে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন থেকে আগামীকালের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে সংগঠনটি।

এর আগে রবিবার (০১ ডিসেম্বর) এনইআইআর সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার-পান্থপথ এলাকায় মানববন্ধন করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের সংগঠন এমবিসিবি। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসার মার্কেট শেয়ার যাদের ৭০ শতাংশের বেশি তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে এনইআইআর চালু করুন। আমরা কোনোভাবেই এনইআইআর-এর বিরুদ্ধে না। তবে এই প্রক্রিয়ার কিছু সংস্কার, ন্যায্য করনীতি প্রণয়ন, একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত বাণিজ্যের স্বার্থে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের কিছু দাবি ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের ব্যাখ্যা সরকারকে বলতে চাই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের বিশাল সংখ্যক ব্যবসায়ীদের কথা না শুনেই একতরফা এনইআইআর চালু করতে যাচ্ছে।

এমবিসিবির নেতারা আরও বলেন, এনইআইআর-এর বর্তমান কাঠামো যদি অপরিবর্তিতভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে শুল্ক ৫৭ শতাংশ হোক কিংবা শূন্য শতাংশ, কোনো অবস্থাতেই বৈধ উপায়ে মোবাইল ফোন আমদানি সম্ভব হবে না। কারণ বিটিআরসির আমদানি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড যদি স্থানীয়ভাবে তাদের পণ্য সংযোজন করে, তাহলে সেই ব্র্যান্ডের কোনো মডেল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আমদানি করতে পারবে না। তাদের মতে, এই নীতিমালা কার্যত মনোপলি ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে। এর ফলে বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতা বিলুপ্ত হবে এবং প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মোবাইল ফোন বাজারের নিয়ন্ত্রণ গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাবে। একই সঙ্গে স্মার্টফোনের দাম আকস্মিকভাবে বেড়ে যাবে এবং সাধারণ ভোক্তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এদিকে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বরের পর বিক্রি হওয়া বা নেটওয়ার্কে চালু হওয়া সব আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়া হবে।

তবে এনইআইআর চালুর আগের দিন পর্যন্ত নেটওয়ার্কে যেসব ফোন রয়েছে, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে; কোনো মোবাইল ফোন বন্ধ করা হবে না।