ব্রেকিং
বিজেএমসির সম্পদ ‘লুটপাটের অভিযোগে’ পাট শ্রমিক দলের প্রতিবাদ
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিজেএমসির সম্পদ ‘লুটপাটের অভিযোগে’ পাট শ্রমিক দলের প্রতিবাদ করেছে। ছবি: সংগ্রহীত

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) বিপুল সম্পদ নষ্ট হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দল।

আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব অভিযোগ তুলে ধরে।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন পাট শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি সাঈদ আল নোমান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, বিজেএমসির আওতাধীন ২৫টি মিল ২০২০ সালের ১ জুলাই বন্ধ ঘোষণার কারণে লাখো শ্রমিক-কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েন, পাশাপাশি পাটশিল্পের সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব মিল বন্ধ হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সাঈদ আল নোমান বলেন, মিলগুলো বন্ধ ঘোষণার পর পরই ১৩–১৪টি পাটকল নামমাত্র মূল্যে দীর্ঘমেয়াদে লিজ দেওয়া হয়। এই লিজ কার্যক্রমে ‘দুর্নীতি ও অনিয়ম’ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, কিছু ক্ষেত্রে প্রথম টেন্ডারে বেশি লিজমানি দেওয়া প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে পরবর্তী টেন্ডারে কম মূল্য প্রস্তাবকারী প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেওয়া হয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি ডেকে এনেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রথমে ৯ মাসের লিজ গ্রেস পিরিয়ড পরে বাড়িয়ে ৩০ মাস করা হয়, যা তিনি ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেন। মিলগুলোতে স্থাপিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিজেএমসির মালিকানাধীন বিভিন্ন জমি ও স্থাপনা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনা মূল্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায় বলে দাবি করা হয়। লিজ কার্যক্রম ও সম্পদ ব্যবস্থাপনায় জড়িত কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগও উত্থাপন করেন সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের পাটশিল্প টিকিয়ে রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি পাটখাত পুনরুজ্জীবনে বৃহত্তর টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।