দুই পা-ই অচল: তবুও থেমে নেই আব্দুর রহিম

দুই পা-ই অচল: তবুও থেমে নেই আব্দুর রহিম
জয়পুরহাট সংবাদাতা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক অনন্য সাহস ও অধ্যবসায়ের জ্বলন্ত প্রদীপ শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিম। জন্মগতভাবে সুস্থ থাকলেও দুর্ঘটনার কারণে দুই পা আজ সম্পূর্ণ অচল। নেই কোন পৈত্রিক সম্পত্তি। কিন্তু শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাঁকে জীবনের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি।
উপজেলার হোচিমিন পাইলট প্রিন্টিং হাউজে বসেই ব্যানার, পোস্টার, লোগো, বিজনেস কার্ডসহ বিভিন্ন ডিজাইনের কাজ করেন তিনি। আধুনিক সফটওয়্যারে দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তা ও নির্ভুল কাজে ইতোমধ্যেই পরিচিত পেয়েছেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। গ্রাহকদের সঙ্গে তাঁর আচরণ, সময় মতো কাজ সরবরাহ এবং কাজের মান-সবকিছুর সমন্বয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন সবার আস্থার জায়গা।
২০০৫-২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন রহিম। বরং প্রতিদিনের সংগ্রামই তাঁকে আরো শক্তিশালী করে তুললেও এখন তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রহিমের বাবা ঘুতু মন্ডল ২০১২ সালে মারা যাওয়ার পর থেকেই সে সংসার জীবনে দায়িত্বভার কাঁধে নেন। নিজের কোন পৈত্রিক সম্পত্তিও নেই। তিনি উপজেলার মহাশ্বসানের দক্ষিণ পার্শ্বে স্বর্গীয় মহল্ললার ছেলে প্রদীপ কুমার আগরওয়ালা তাকে চার শতক জায়গা নোটারি করে দিয়ে ভারত চলে গেছেন। সেখানে তাঁর মা, স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে রহিমের বসবাস।
আব্দুর রহিম বলেন, দুই পা অচল হয়ে জীবনযুদ্ধে লড়াই করা হামার জন্য সহজ আছল না। তবুও ভাগ্যবান হামি, কারণ কর্মস্থলে হোচিমিন ও পাইলট ভাইয়ের মতো মানুষ আছিলো। তারা শুধু হামাক বেতনই দেন না- বরং নানা সময় নানাভাবে আর্থিক সহায়তা ও মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে দাঁড়াছে।
দোকান মালিক পাইলট বলেন, রহিম শুধু আমার কর্মী নয়, পরিবারের একজন সদস্য। অসুস্থতার মধ্যেও সে দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করে-এটা আমাদের সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। আমরা সব সময় তাকে সম্মান করি ও পাশে থাকার চেষ্টা করি।
প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানান, বাবার সম্পত্তি নেই, দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়েছেন, এখন কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। সহায়তা পেলে তিনি সুস্থ হয়ে বড় পরিসরে কাজ করতে পারবেন এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখতে পারবেন।
উপজেলার সমাজসেবা অফিসার সাজেদুর রহমান জানান, রহিমে সংগ্রাম ও প্রতিভা সত্যিই প্রশংসনীয়। মানুষ ইচ্ছা করলে কি-না করতে পারে? দুই পা অচল হয়েও নিজের সাহস, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে তিনি শুধু নিজের পরিবারের হালই ধরেননি। বরং সমাজের হাজারো প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য হয়ে উঠেছেন অদম্য অনুপ্রেরণা।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক অনন্য সাহস ও অধ্যবসায়ের জ্বলন্ত প্রদীপ শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিম। জন্মগতভাবে সুস্থ থাকলেও দুর্ঘটনার কারণে দুই পা আজ সম্পূর্ণ অচল। নেই কোন পৈত্রিক সম্পত্তি। কিন্তু শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাঁকে জীবনের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি।
উপজেলার হোচিমিন পাইলট প্রিন্টিং হাউজে বসেই ব্যানার, পোস্টার, লোগো, বিজনেস কার্ডসহ বিভিন্ন ডিজাইনের কাজ করেন তিনি। আধুনিক সফটওয়্যারে দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তা ও নির্ভুল কাজে ইতোমধ্যেই পরিচিত পেয়েছেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। গ্রাহকদের সঙ্গে তাঁর আচরণ, সময় মতো কাজ সরবরাহ এবং কাজের মান-সবকিছুর সমন্বয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন সবার আস্থার জায়গা।
২০০৫-২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন রহিম। বরং প্রতিদিনের সংগ্রামই তাঁকে আরো শক্তিশালী করে তুললেও এখন তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রহিমের বাবা ঘুতু মন্ডল ২০১২ সালে মারা যাওয়ার পর থেকেই সে সংসার জীবনে দায়িত্বভার কাঁধে নেন। নিজের কোন পৈত্রিক সম্পত্তিও নেই। তিনি উপজেলার মহাশ্বসানের দক্ষিণ পার্শ্বে স্বর্গীয় মহল্ললার ছেলে প্রদীপ কুমার আগরওয়ালা তাকে চার শতক জায়গা নোটারি করে দিয়ে ভারত চলে গেছেন। সেখানে তাঁর মা, স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে রহিমের বসবাস।
আব্দুর রহিম বলেন, দুই পা অচল হয়ে জীবনযুদ্ধে লড়াই করা হামার জন্য সহজ আছল না। তবুও ভাগ্যবান হামি, কারণ কর্মস্থলে হোচিমিন ও পাইলট ভাইয়ের মতো মানুষ আছিলো। তারা শুধু হামাক বেতনই দেন না- বরং নানা সময় নানাভাবে আর্থিক সহায়তা ও মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে দাঁড়াছে।
দোকান মালিক পাইলট বলেন, রহিম শুধু আমার কর্মী নয়, পরিবারের একজন সদস্য। অসুস্থতার মধ্যেও সে দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করে-এটা আমাদের সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। আমরা সব সময় তাকে সম্মান করি ও পাশে থাকার চেষ্টা করি।
প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানান, বাবার সম্পত্তি নেই, দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়েছেন, এখন কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। সহায়তা পেলে তিনি সুস্থ হয়ে বড় পরিসরে কাজ করতে পারবেন এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখতে পারবেন।
উপজেলার সমাজসেবা অফিসার সাজেদুর রহমান জানান, রহিমে সংগ্রাম ও প্রতিভা সত্যিই প্রশংসনীয়। মানুষ ইচ্ছা করলে কি-না করতে পারে? দুই পা অচল হয়েও নিজের সাহস, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে তিনি শুধু নিজের পরিবারের হালই ধরেননি। বরং সমাজের হাজারো প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য হয়ে উঠেছেন অদম্য অনুপ্রেরণা।

দুই পা-ই অচল: তবুও থেমে নেই আব্দুর রহিম
জয়পুরহাট সংবাদাতা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক অনন্য সাহস ও অধ্যবসায়ের জ্বলন্ত প্রদীপ শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিম। জন্মগতভাবে সুস্থ থাকলেও দুর্ঘটনার কারণে দুই পা আজ সম্পূর্ণ অচল। নেই কোন পৈত্রিক সম্পত্তি। কিন্তু শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাঁকে জীবনের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি।
উপজেলার হোচিমিন পাইলট প্রিন্টিং হাউজে বসেই ব্যানার, পোস্টার, লোগো, বিজনেস কার্ডসহ বিভিন্ন ডিজাইনের কাজ করেন তিনি। আধুনিক সফটওয়্যারে দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তা ও নির্ভুল কাজে ইতোমধ্যেই পরিচিত পেয়েছেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। গ্রাহকদের সঙ্গে তাঁর আচরণ, সময় মতো কাজ সরবরাহ এবং কাজের মান-সবকিছুর সমন্বয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন সবার আস্থার জায়গা।
২০০৫-২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন রহিম। বরং প্রতিদিনের সংগ্রামই তাঁকে আরো শক্তিশালী করে তুললেও এখন তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রহিমের বাবা ঘুতু মন্ডল ২০১২ সালে মারা যাওয়ার পর থেকেই সে সংসার জীবনে দায়িত্বভার কাঁধে নেন। নিজের কোন পৈত্রিক সম্পত্তিও নেই। তিনি উপজেলার মহাশ্বসানের দক্ষিণ পার্শ্বে স্বর্গীয় মহল্ললার ছেলে প্রদীপ কুমার আগরওয়ালা তাকে চার শতক জায়গা নোটারি করে দিয়ে ভারত চলে গেছেন। সেখানে তাঁর মা, স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে রহিমের বসবাস।
আব্দুর রহিম বলেন, দুই পা অচল হয়ে জীবনযুদ্ধে লড়াই করা হামার জন্য সহজ আছল না। তবুও ভাগ্যবান হামি, কারণ কর্মস্থলে হোচিমিন ও পাইলট ভাইয়ের মতো মানুষ আছিলো। তারা শুধু হামাক বেতনই দেন না- বরং নানা সময় নানাভাবে আর্থিক সহায়তা ও মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে দাঁড়াছে।
দোকান মালিক পাইলট বলেন, রহিম শুধু আমার কর্মী নয়, পরিবারের একজন সদস্য। অসুস্থতার মধ্যেও সে দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করে-এটা আমাদের সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। আমরা সব সময় তাকে সম্মান করি ও পাশে থাকার চেষ্টা করি।
প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানান, বাবার সম্পত্তি নেই, দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়েছেন, এখন কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। সহায়তা পেলে তিনি সুস্থ হয়ে বড় পরিসরে কাজ করতে পারবেন এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখতে পারবেন।
উপজেলার সমাজসেবা অফিসার সাজেদুর রহমান জানান, রহিমে সংগ্রাম ও প্রতিভা সত্যিই প্রশংসনীয়। মানুষ ইচ্ছা করলে কি-না করতে পারে? দুই পা অচল হয়েও নিজের সাহস, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে তিনি শুধু নিজের পরিবারের হালই ধরেননি। বরং সমাজের হাজারো প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য হয়ে উঠেছেন অদম্য অনুপ্রেরণা।