ব্রেকিং
ওষুধ পাচারের সময় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের দুই কর্মী আটক
ওষুধ পাচারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে আনসার সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ পাচারের অভিযোগে পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ দুজনকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাসপাতাল চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন- হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোমের সহযোগী ইবাদুল মিয়া। তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টুবেল হরিজন ও ইবাদুল মিয়া একটি ভ্যানে করে হাসপাতালের বিভিন্ন পরিত্যক্ত সরঞ্জাম নিচ্ছিলেন। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তাদের দুজনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা জানান, সদর হাসপাতালের ফার্মেসিতে কর্তব্যরত বিকাশ রায় তাদের এগুলো বাইরে নিয়ে যেতে বলেছেন।

তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ভ্যানগাড়ি তল্লাশি করে ১৭৫ বক্সে ৮৭৫০ পিস সলবিয়ন (Solbion) ভিটামিন ওষুধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ সিরিঞ্জ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে ওষুধসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‍টুবেল হরিজন ও ইবাদুল মিয়া হাসপাতালের পরিত্যক্ত সরঞ্জাম ভ্যানগাড়িতে তুলছিলেন। সন্দেহজনক আচরণ দেখে আমি তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে ভ্যান তল্লাশি করে ১৭৫ বক্সে ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ সিরিঞ্জ উদ্ধার করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাই।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট বিকাশ চন্দ্র অভিযোগ অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে বলেন, সরকারি ওষুধ কেউ বাইরে নিয়ে বিক্রি করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ আইনের বাইরে। আমি নিজেই রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাই। বাইরে ওষুধ বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মিতু আক্তার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দেখে আমি খবর পাই। তারা কতদিন ধরে এ কাজ করছে, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।