ব্রেকিং
পোল্যান্ডে সেনা পাঠাচ্ছে জার্মানি
পোল্যান্ডে সেনা পাঠাচ্ছে জার্মানি। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে সেনা পাঠাচ্ছে জার্মানি। তবে, এবার দেশটি দখল করতে নয়, বরং রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ডের যে সীমান্ত আছে তা সুরক্ষিত করতে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।

খবরে বলা হয়েছে, বেলারুশ ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছে জার্মানি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে কয়েক ডজন জার্মান সেনা পোল্যান্ডের ‘ইস্ট শিল্ড’ মিশনে যোগ দেবে। এই মিশনটি প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে।

জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, জার্মান সৈন্যরা মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশলগত কাজে মনোযোগ দেবে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই কাজের মধ্যে রয়েছে—সামরিক অবস্থান তৈরি, ট্রেঞ্চ বা পরিখা খনন, কাঁটাতার বসানো এবং ট্যাংক-বিরোধী বাধা নির্মাণ।

উল্লেখ্য, ‘ইস্ট শিল্ড’ হলো গত বছর ওয়ারশ ঘোষিত ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি, যার উদ্দেশ্য তাদের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা আরও মজবুত করা।

এর আগে, নাৎসি জার্মানির নেতা অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরবেলায় পোল্যান্ডে সেনা প্রেরণ করেন। এই আক্রমণকে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ, এর দুই দিন পরই ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পোল্যান্ড অভিযানে জার্মানি স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার মাধ্যমে একযোগে আক্রমণ চালায়, যা পরে ‘ব্লিৎজক্রিগ’ বা বজ্রগতির যুদ্ধকৌশল নামে পরিচিত হয়।

বিভিন্ন ঐতিহাসিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, হিটলার এই অভিযানে আনুমানিক ১৫ লাখ জার্মান সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিল প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার ট্যাংক এবং দুই হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান। সেই সময়ে এটা ইউরোপের অন্য যেকেনো দেশের তুলনায় অত্যন্ত আধুনিক ও সুসংগঠিত সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। সংখ্যার জোর আর কৌশলগত প্রস্তুতির কারণে পোল্যান্ড মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরাজিত হয় এবং ইউরোপ যুদ্ধের আগুনে জড়িয়ে পড়ে।