শিরোনাম
হাদিকে গুলি করা ফয়সালের বাবা-মা গ্রেপ্তার; মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য
হাদিকে গুলি করা প্রধান আসামি ফয়সাল ও তার মা-বাবা। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১০। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আততায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) এবং মা মোসা. হাসি বেগম (৬০)।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় র‍্যাব-১০-এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাচেষ্টা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে শুটার ফয়সালের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের চার সন্তানের মধ্যে আসামি ফয়সাল তৃতীয়। সে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় তার বোন মোসা. জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করত। ঘটনার দিন রাতে ফয়সাল জেসমিন আক্তারের বাসায় একটি ব্যাগ নিয়ে ওঠে। পরে ওই বাসার চিপা দিয়ে কালো ব্যাগটি ফেলে দেয় এবং আবার তার ভাগনে জামিল (১৮)-কে দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসে। ফয়সাল তার নিজ ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেয় এবং অন্যটি তার মা মোসা. হাসি বেগমকে দেয়।

পরে সেখানে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে। সেখানে ফয়সাল তার অবস্থান নিরাপদ মনে না করায় আগারগাঁও থেকে মিরপুর, পরে শাহজাদপুরে মো. হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা আরিফের বাসায় যায়। শুটার ফয়সালের ব্যাগ নিয়ে তার বাবা মো. হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি ভাড়া করে দেন এবং সঙ্গে কিছু টাকাও দেন। পরবর্তীতে আসামিরা তার ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবলু ওরফে রাজের কেরাণীগঞ্জের বাসায় আসে এবং তারা জুরাইন থেকে দুটি মোবাইল সিম কিনে ব্যবহার করে।

গ্রেপ্তারকৃতদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে দুপুর ২টা ২৪ মিনিটের দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা দুটি হাসপাতালে চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছে সরকার।