ব্রেকিং
ফিঙ্গার প্রিন্ট থেকে মিলল বস্তাবন্দি মরদেহের পরিচয়
থানা। ফাইল ফটো

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের সড়কের পাশ থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দি মরদেহের পরিচয় উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের ফিঙ্গার প্রিন্ট থেকে পরিচয় ও মোবাইল নম্বরের কললিস্টের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা হয়। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনায় জবানবন্দি দেয় হত্যাকারী প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলা। অভিযুক্ত এখন কারাগারে।

গ্রেপ্তারকৃত মিথিলা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ মিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সোহেল মিয়ার মেয়ে। নিহত নয়ন চন্দ্র মজুমদারের (২৮) বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার উত্তর মগধরা গ্রামে। তার বাবার নাম দিলাল চন্দ্র মজুমদার।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) পলাশ থানা পুলিশ ও নরসিংদী পিবিআইয়ের যৌথ অভিযানে নিহতের মোবাইলের কললিস্ট থেকে মূলত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম নয়ন চন্দ্র মজুমদার (২৮)। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ থানার উত্তর মগধরা গ্রামে। তিনি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। পার্শ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামে সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করতেন। অপরদিকে হত্যাকারী প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলার বাড়ি ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ মিয়াপাড়া গ্রামে। বিয়ের আগে থেকেই নরসুন্দর নয়নের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিথিলার।

প্রেমিক নয়নকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে খুন করে মিথিলা

পলাশ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর নিহত নয়ন চন্দ্র মজুমদারকে তার পরকীয়া প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলা (২৪) ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মিথিলা এবং তার স্বামী ফয়সাল পরিকল্পিতভাবে নয়নকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বস্তাবন্দি করে খাটের নিচে রেখে দেয়। দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে অটোরিকশায় মরদেহ বহন করে পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের সড়কের পাশে ফেলে রেখে আসে।

পরের দিন স্থানীয় লোকজন বস্তা দেখে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হসপিটালের মর্গে পাঠায়। নরসিংদী পিবিআই পুলিশ মরদেহের ফিঙ্গার প্রিন্ট থেকে পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারকে জানালে নিহতের মা ঝর্না রানী মজুমদার বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরবর্তীতে মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং নিহতের মোবাইলের কল লিস্ট ধরে তার পরকীয়া প্রেমিকা মিথিলাকে গ্রেপ্তার করেন। এ খবর জেনে তার স্বামী আত্মগোপনে চলে যায়। তাকেও গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।