সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে হামলা
‘বিয়ের দেড় বছরেই স্বামীকে হারালাম’

‘বিয়ের দেড় বছরেই স্বামীকে হারালাম’
সিটিজেন ডেস্ক

‘বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাস, তাতেই স্বামীকে হারালাম। আমার জীবনটাই শেষ হয়ে গেলো। আমার সব শেষ হয়ে গেলো।’ এভাবে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়ি লোকজন দিয়ে ভর্তি। মা ছকিনা বেগম ছেলের মৃত্যুর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ছোলক (ছেলেকে) বাহিনীতে ডুকাই দিছুনু। হামার এতিম ছোলটা যেনো কষ্ট না পায়। কষ্ট করে লেখাপড়া হামি (আমি) করাইছি, মরার আগ পর্যন্ত হামাক (আমাকে) দেখপে। সেই ছোলক ওরা মারছে। তোমরা হামাক, হামার ছোলক আনে দেও। হামার ময়নাটা কি হলো রে, হামার একটাই খাটনেআলা ছোল।’
ছোটবেলায় বাবাকে হারান সবুজ। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আহত হয়েছেন আটজন।

‘বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাস, তাতেই স্বামীকে হারালাম। আমার জীবনটাই শেষ হয়ে গেলো। আমার সব শেষ হয়ে গেলো।’ এভাবে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়ি লোকজন দিয়ে ভর্তি। মা ছকিনা বেগম ছেলের মৃত্যুর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ছোলক (ছেলেকে) বাহিনীতে ডুকাই দিছুনু। হামার এতিম ছোলটা যেনো কষ্ট না পায়। কষ্ট করে লেখাপড়া হামি (আমি) করাইছি, মরার আগ পর্যন্ত হামাক (আমাকে) দেখপে। সেই ছোলক ওরা মারছে। তোমরা হামাক, হামার ছোলক আনে দেও। হামার ময়নাটা কি হলো রে, হামার একটাই খাটনেআলা ছোল।’
ছোটবেলায় বাবাকে হারান সবুজ। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আহত হয়েছেন আটজন।

‘বিয়ের দেড় বছরেই স্বামীকে হারালাম’
সিটিজেন ডেস্ক

‘বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাস, তাতেই স্বামীকে হারালাম। আমার জীবনটাই শেষ হয়ে গেলো। আমার সব শেষ হয়ে গেলো।’ এভাবে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়ি লোকজন দিয়ে ভর্তি। মা ছকিনা বেগম ছেলের মৃত্যুর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ছোলক (ছেলেকে) বাহিনীতে ডুকাই দিছুনু। হামার এতিম ছোলটা যেনো কষ্ট না পায়। কষ্ট করে লেখাপড়া হামি (আমি) করাইছি, মরার আগ পর্যন্ত হামাক (আমাকে) দেখপে। সেই ছোলক ওরা মারছে। তোমরা হামাক, হামার ছোলক আনে দেও। হামার ময়নাটা কি হলো রে, হামার একটাই খাটনেআলা ছোল।’
ছোটবেলায় বাবাকে হারান সবুজ। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আহত হয়েছেন আটজন।