ব্রেকিং
তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ফাইল ছবি

টানা দুই দিন ধরে কনকনে শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো জেলাজুড়েই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দিনমজুর ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের। ভোরের তীব্র ঠান্ডায় মাঠে-ঘাটে কাজে বের হওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

রবিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগে মঙ্গলবার তাপমাত্রা নেমেছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। বুধবার থেকে শুক্রবার টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি। শনিবারও তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ।

ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল ছিল ধীরগতির। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনেও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়েছে।

রবিবার ভোর থেকেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা নেমে আসে। সকাল ৮টা পর্যন্ত সড়ক ও আশপাশের মাঠ-ঘাট সাদা কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় যানবাহনকে পুরো সকালজুড়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কভাবে চলতে হয়।

শীত বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও রাস্তার মোড়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় এক গাড়িচালক বলেন, “কুয়াশা এত ঘন যে আগে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় আসতে ৮–১০ ঘণ্টা লাগতো, এখন ১২–১৩ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে।”

পঞ্চগড় শহরের এক ভ্যানচালক বলেন, “কুয়াশায় সকালে যাত্রী পাওয়া যায় না, আয় কমে গেছে।”

এক পাথরশ্রমিক বলেন, “ঠান্ডার কারণে নদীতে নামতে পারছি না। কাজ না করলে চলবে কীভাবে? তারপরও নামতেই হবে।”

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “তাপমাত্রা এখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ঘরেই রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ আরও জোরদার হতে পারে। রাতে তাপমাত্রা কমবে এবং কুয়াশা আরও ঘন হতে পারে।”