ব্রেকিং
’৭১-এর প্রজন্মকে ‘নিকৃষ্টতম’ বলার দুঃসাহস দেখান কীভাবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের প্রজন্মকে ‘নিকৃষ্টতম’ বলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, কোন সাহসে এই কথা বলার দুঃসাহস দেখান তারা? এই ঔদ্ধত্য কীভাবে দেখান তারা?

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল এসময় জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘খুব শিগগিরই’ দেশে ফিরবেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতা যেদিন আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন, বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন সমগ্র বাংলাদেশ যেন কেঁপে ওঠে। সেদিন গোটা বাংলাদেশের চেহারা বদলে দেবে বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের নেতার যে চিন্তাভাবনা তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।'

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, এবারের নির্বাচন সেই আওয়ামী লীগের আমলের নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন হবে সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়যুক্ত হতে হলে মানুষের মন জয় করে তাদের ভোটকেন্দ্র নিয়ে আসতে হবে। ধানের শীষের পক্ষে তাদের ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। কে নমিনেশন পেলো কি পেলো না সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনার দল জনগণের জন্য কী নিয়ে আসছে তা জনগণকে জানাতে হবে।

এই লড়াই নির্বাচনে জয়ের লড়াই উল্লেখ তিনি বলেন, এখনকার লড়াই হচ্ছে আমাদের এই নির্বাচনে জয়ের লড়াই। এ নির্বাচনে আমাদেরকে পুরোপুরিভাবে জয় লাভ করতে হবে। অনেক বাধা আসবে, অনেক বিপত্তি আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রচারণা হচ্ছে, হতে থাকবে। কিন্তু সবকিছু পাশ কাটিয়ে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। বিএনপি কোনোদিনই পরাজিত হয়নি, পরাজিত হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই দেশে সংস্কারের জন্ম দিয়েছে বিএনপি। ১৯৭৫ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের শাসনভার গ্রহণ করে শেখ মুজিবের একদলীয় বাকশালতন্ত্র বিলুপ্ত করেন। বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীন বিচারবিভাগ গড়ে তোলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। তেমনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।'

মির্জা ফখরুল বলেন, একটা কথা আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সাল আমাদের অস্তিত্ব। এ কথাটা খুব জোরেসোরে মনে রাখবেন। আজকে আমি পত্রিকায় দেখলাম, ১৯৭১ সালের প্রজন্ম নাকি নিকৃষ্টতম প্রজন্ম। কোন সাহসে এই কথা বলার দুঃসাহস দেখান তারা? এই ঔদ্ধত্য কীভাবে দেখান তারা?

অপশক্তি রুখতে হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের প্রিয় ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ কেউ বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব এসময় দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চান।

‘দেশ গড়া পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির অন্য নেতারাও বক্তব্য রাখেন।